চট্টগ্রামে আবারও বোর্ড সেরা কলেজিয়েট স্কুল
- জোবায়ের চৌধুরী, চট্টগ্রাম
গতবারের তুলনায় এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে বেড়েছে পাশের হার। এবার পাসের হার ৯০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা ২০১৫ সালে ছিল ৮২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, ২০১৪ সালে ছিল ৯১ দশমিক ৪০ এবং ২০১৩ সালে ছিল ৮৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় ৫৫০ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়ে এ বছরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৬৬ জন।
গতকাল (১১ মে) সকাল ১১টায় ফলাফল ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুবু হাসান দি প্রমিনেন্টকে জানান, এ বছর চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার্থীর ছিল ২৪ হাজার ৫৭১ জন, মানবিক বিভাগে ৩০ হাজার ৬৮৮ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৫৭ হাজার ৭০০ জন পরীক্ষার্থী ছিল। আর নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ৯৮ হাজার ৭০৩ জন, অনিয়মিত ১৪ হাজার ১৮৫ জন এবং মানউন্নয়ন পরীক্ষার্থী ছিল ৭১ জন।
এদিকে টানা ১২ বারের মতো এবারও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ১ম স্থানটি দখল করে নিয়েছে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে এবারও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে বোর্ড সেরার স্থানটি অক্ষুণ্ণ রেখেছে স্কুলটি।
এবার কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪০২ জন শিক্ষার্থী, আর এদের মধ্যে ৩৭৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর পাশের হারও ছিল শতভাগ। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকায় এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ড সেরা স্কুল ঘোষণা করা হয়নি।
চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ মো.গিয়াস উদ্দিন দি প্রমিনেন্টকে জানান, টানা ১২বার সেরা হওয়ার পেছনে অবদান রেখেছে শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাস নেওয়া, নিয়মিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া ও শিক্ষকদের নিয়মিত গাইডলাইন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত তদারকির পাশাপাশি আমরা প্রতি মাসে একটি করে ক্লাস টেস্ট নিয়ে থাকি, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ভুলগুলো শুধরিয়ে নিতে পারে। আর এসব কারণেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
কলেজিয়েট স্কুল ছাড়া চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম গভ: মুসলিম হাই স্কুল। এ স্কুলে ৪১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৩৮জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, আর শতভাগ পাশ। তৃতীয় স্থানে দখল ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩১৯জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ২৮০জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, এ স্কুলেও পাশ শতভাগ।
এছাড়াও চতুর্থ স্থানে রয়েছে নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৮৫জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৪জন আর পাস করেছে ৩৪২জন শিক্ষার্থী। পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাওয়া স্কুল। এ স্কুলে ৪১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫৬জন আর পাস করেছে ৪১০জন শিক্ষার্থী। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩২২জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১৯জন জিপিএ-৫ পেয়েছে আর পাস করেছে ৩২১ জন শিক্ষার্থী। সপ্তম স্থানে রয়েছে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। ৫৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৫জন আর পাস করেছে শতভাগ শিক্ষার্থী।