বাংলাদেশে নতুন উদ্যোগ ‘শিক্ষানবিশ নিয়োগ’
- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘শিক্ষানবিশ নিয়োগ’ ধারার সূচনা করতে যাচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ‘পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নেতা তৈরি হও’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ‘শিক্ষানবিশ’ নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম পর্ব গত ১৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাছাইকৃত ৫০০ আবেদন পত্র থেকে অংশগ্রহণকারীদের কার্যক্রমের ওপর সম্মানিত জুরি বোর্ডের বিচার বিবেচনায় ৫১ জন ডিআইইউ স্নাতক ও এ্যালামনাইকে পরবর্তী দ্বিতীয় পর্ব গ্রুমিং সেশনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ড্রেস কোড, টেকনোলজি দক্ষতা, সময়নিষ্টা, অঙ্গভঙ্গি, ব্যবহার, যোগাযোগ, নৈতিক আচরণ, প্রশ্নউত্তর, উপস্থাপনা, আইকিউ, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান, কুইজ এবং লিখিত পরীক্ষারসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা হয়।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান সামনে থেকে তার গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনা এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে পুরো বিষয়টির নেতৃত্ব দেন। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মীর্জা বাকের সারওয়ার আহমেদ, এনডিসি, পিএসসি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাসুম ইকবাল, সাংবাদিকতা এবং গণযোগাযোগ বিভাগের প্রধান এবং স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এ. কে. এম ফজলুল হক, এন্ট্রাপ্রেনারশীপ বিভাগের প্রধান এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক সৈয়দ মারুফ রেজা , পরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমরান হোসেন এবং ডিআইইউ চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী (ব্যবসা উন্নয়ন) মিস আমেনা হাসান এনা বিচারক মন্ডলীর ভূমিকা পালক করেন এবং বিভিন্ন অধিবেশন পরিচালনা করেন। বিভিন্ন অনুষদ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ২৫জন স্বেচ্ছাসেবক পুরো অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বের জন্য সেরা প্রার্থী নির্বাচনে সহযোগীতা করেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষানবিশ পেশাটি প্রথমবারের মত বাংলাদেশে একটি নতুন ধারনা হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সূচনা করতে যাচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সেরা প্রার্থী বাছাই করে ড্যাফোডিল গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হবে যারা শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে কাজ করবেন এবং তাদের চিন্তা-চেতনার সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতে নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের অবস্থানকে উজ্জ্বল করবেন।