ঘরে বসে আয়ের ১০ উপায়
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
প্রতিদিন একই সময়ে অফিস, গৎবাঁধা চাকরি আর ছকে বাঁধা জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মেছে? তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে বাসায় বসেই নানা রকম কাজের সুযোগ রয়েছে। এ রকম স্বাধীনভাবে উপার্জনের জন্য আপনার চাই দক্ষতা ও নিষ্ঠা এবং অবশ্যই ইন্টারনেট-সংযোগ। চলুন, অফিসে না গিয়েই করা যায়, এমন ১০টি কাজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিই
ই-মেইলে বিপণন: জনসংযোগ বা বিপণন বিষয়ে পড়াশোনা বা কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি ই-মেইলের মাধ্যমে বিপণনের কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন পণ্যের প্রচার এবং গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগের এই কাজ কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে যেমন করা যায়, তেমনি ফ্রিল্যান্স ভিত্তিতে একাধিক প্রতিষ্ঠানেও করার সুযোগ আছে। যোগাযোগ এবং ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইনে দক্ষ ব্যক্তিরা এ কাজে বাড়তি সুবিধা পাবেন।
প্রচারমূলক ভিডিওচিত্র নির্মাণ: চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে জানাশোনা বা কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে স্বাধীন নির্মাতা হতে পারেন। কাজটা হলো বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন বা প্রচারমূলক ভিডিওচিত্র বানিয়ে ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম প্রভৃতি অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশের। এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো পারিশ্রমিক দেবে।
ফ্রিল্যান্স লেখালেখি: কপি রাইটিং থেকে শুরু করে ছদ্মনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশনা সংস্থার হয়ে লিখতে পারেন। তবে এ জন্য চাই প্রচুর পরিশ্রম ও ধৈর্য। লেখার মান ভালো হলে এ কাজের মাধ্যমে ঘরে বসে বা প্রত্যন্ত এলাকায় থেকেই পর্যাপ্ত আয়ের সুযোগ রয়েছে।
ওয়েব/গ্রাফিক ডিজাইন: ওয়েব ডিজাইন বা গ্রাফিক ডিজাইনের কাজের চাহিদা রয়েছে। তবে সেটা ভালো করে রপ্ত করতে হবে। রাতারাতি এটা সম্ভব হয় না। আজকাল অনলাইনেও এসব বিষয় শেখা যায়। এখন প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেরই ওয়েবসাইট খুলে সেগুলো নিয়মিত হালনাগাদ করতে হয়। তাই এসব ডিজাইনারের কাজের সুযোগ ভবিষ্যতে অনেক বাড়বে।
অনুবাদক: দুই বা তারও বেশি ভাষায় দক্ষতা থাকলে অনুবাদকের কাজ পাবেন। এ রকম কাজ বাড়িতে বসেই করা যায়। বাঁধাধরা চাকরিতে না গিয়ে ফ্রিল্যান্স বা চুক্তিভিত্তিক অনুবাদের কাজও পাওয়া যায়। অনলাইন পোর্টাল বা বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনুবাদক নিয়োগ করে থাকে।
গ্রাহকসেবা ব্যবস্থাপনা: অনেক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্যের বিষয়ে অনলাইনে গ্রাহকদের অনুরোধে সেবা দিয়ে থাকে। ইন্টারনেটনির্ভর কেনাকাটার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ‘হেল্প’ অথবা ‘তাৎক্ষণিক সাহায্যের জন্য ই-মেইল করুন’ ইত্যাদি অংশ থাকে ক্রেতাদের জন্য। গ্রাহকসেবা ব্যবস্থাপকদের কাজ হলো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এসব অনুরোধের জবাব দিয়ে সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি করা। এটা দূরে থেকে অনলাইনে অথবা ক্ষেত্রবিশেষে ফোনেই সম্পন্ন করা যায়।
অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোনের অ্যাপ তৈরি: কম্পিউটার বিজ্ঞান বা সফটওয়্যার প্রকৌশলে পড়াশোনা থাকলে অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোনের বিভিন্ন অ্যাপ তৈরির কাজ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মানুষের চাহিদা ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উপযোগী অ্যাপ বানাতে হবে। এ কাজ যেকোনো স্থানে বসে করা সম্ভব।
তহবিল সংগ্রহ: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের জন্য চলচ্চিত্র ও সংগীতের আয়োজন বা দাতব্য প্রকল্প চালনার উদ্দেশ্যে তহবিল সংগ্রহের প্রচলন পশ্চিমা দেশগুলোতে বেশি। বিক্রয় ও বিপণন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দক্ষতা এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ এ ক্ষেত্রে আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
ই-বই প্রকাশ: যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কাগুজে বইয়ের জায়গা নিচ্ছে যান্ত্রিক ই-বই। এখন মানুষ ই-বই কিনতে শুরু করেছে এবং এর একটা বড় বাজারও তৈরি হচ্ছে। এসব বই প্রকাশ ও বিপণনের কাজ পুরোটাই ইন্টারনেটনির্ভর। এ কাজের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
আপনার বর্তমান কাজ: অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন ঘরে বসে নানান পেশার কাজ সম্পন্ন করার সুযোগ বেড়েছে। প্রযুক্তিগত সুবিধা সহজলভ্য হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অনলাইননির্ভর হয়ে যাচ্ছে। অফিসে না গিয়ে দূর থেকেই করে ফেলা যাচ্ছে বেশির ভাগ কাজ। আপনার বর্তমান কাজের ধরনটাও সেভাবে পাল্টে নিয়ে বাড়িতে বসেই করা যায় কি না, যাচাই করে দেখুন।