পড়তে যাই অস্ট্রিয়ায়
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ইউনিভার্সিটি অফ ইন্সব্রুক অস্ট্রিয়ার টিরোল প্রদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫৬২ খ্রিস্টাব্দে। তখন এ প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল একাডেমিসেস জিমনেসিয়াম ইন্সব্রুক। পরে ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে এ প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। ইন্সব্রুক অস্ট্রিয়ার একটি প্রাচীন ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে এতে ১৫টি অনুষদ, ৭৩টি ইনস্টিটিউট, ২৬ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী এবং ৪ হাজার শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। ২০১০-১১ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশনের এক জরিপ অনুসারে ইন্সব্রুক পৃথিবীর ১৮৭তম বিশ্ববিদ্যালয় এবং অস্ট্রিয়ার সর্বোত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে। ইউনিভার্সিটি অফ ইন্সব্রুকে সাধারণত স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং নানা বিষয়ের ওপর ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ আছে। আরও আছে সেকেন্ডারি স্কুল টিচার অ্যাক্রেডিটেশন প্রোগ্রাম। মাস্টার্স শেষ করার পরই শিক্ষকতার ওপর প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করা যায়। আছে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ।
অনুষদ : ক্যাথলিক ধর্মতত্ত্ব, আইন, ব্যবসায় বাণিজ্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান, শিক্ষাবিজ্ঞান (সাইকোথেরাপি), দর্শনের ইতিহাস, দর্শন ও সংস্কৃতিবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও ফার্মাকোলজি, ভূগোল ও বায়ুম-লীয়বিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান ও ক্রীড়াবিজ্ঞান, স্থাপত্য এবং পুরকৌশল। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে ১৫টি অনুষদের সঙ্গে যুক্ত হয় মেডিসিন অনুষদ।
ভর্তি প্রক্রিয়া : বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় নির্দিষ্ট একটি কাঠামোর ভেতর দিয়ে। বিভিন্ন অনুষদ এবং নানা বিষয়ে গবেষণার জন্য আলাদা আলাদাভাবে পরীক্ষা দিতে হয়। প্রয়োজনীয় নম্বর পেলেই কেবল ভর্তি হওয়ার অনুমতি মেলে।
গ্রন্থাগার : যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ জ্ঞানার্জনের জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারের। নানা বিষয়ে প্রচুর সহায়ক গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীরা জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ পায়। এ দিক থেকে ইউনিভার্সিটি অফ ইন্সব্রুক মোটেও পিছিয়ে নেই। কয়েকশ’ বছরের পুরনো এ বিশ্ববিদ্যালয়টি তিল তিল করে গড়ে তুলেছে তাদের গ্রন্থাগারটি। দুর্লভ পাণ্ডুলিপিসহ আছে কয়েক লাখ সহায়ক গ্রন্থ।
প্রতি বছর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের নানা দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী ভর্তি হয় স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা কোর্সে। তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই আসে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে।