অ্যাভিয়েশন ম্যানেজমেন্টে সফল ক্যারিয়ার
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
কথায় আছে, সাফল্যের মূল মন্ত্র নিহিত রয়েছে ব্যবস্থাপনায়। সেটা শুরু করতে হয় প্রথমে ক্যারিয়ার ব্যবস্থাপনা দিয়ে। কারণ নিজেকে কোন পেশায় নিয়োজিত করবেন সে লক্ষ্য যদি না থাকে তবে ক্যারিয়ারের অবস্থা হয় মাঝিবিহীন নৌকার মতো। এই পছন্দে যদি গলদ হয় তবে পস্তাতে হয় সারা জীবন। কেননা এখন তুমুল প্রতিযোগিতার যুগ। এই যুগে পছন্দের সাথে বাস্তবতা এবং ভবিষ্যত্ দিকনির্দেশনার সমন্বয় থাকা চাই। এজন্য এসএসসি বা এইচএসসির পর শিক্ষা এবং ক্যারিয়ার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাবা উচিত। এক্ষেত্রে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যেতে পারে—উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষিত হতে চাইলে তা কি কেবল দেশের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকা উচিত নাকি পুরো বিশ্বে সমাদৃত হওয়া উচিত? অবশ্যই সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহীরা চাইবেন যেকোনো দেশে গ্রহণযোগ্য ডিগ্রি। দ্বিতীয়ত কোর্সটির চাকরি প্রাপ্তির সম্ভাবনা যাচাই করা জরুরি। অবশ্যই সবারই চাওয়া হয়, সার্টিফিকেট পাওয়ার আগেই চাকরির অফার আসা শুরু হোক। তৃতীয়ত, এই ডিগ্রি দিয়ে প্রাপ্ত চাকরির বেতন কাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা কেমন হবে, এ বিষয়েও সবাই কমবেশি ভেবে থাকেন। এ ক্ষেত্রে সবাই চান বেতন ও সুযোগ-সুবিধা হবে আন্তর্জাতিকমানের। পছন্দের এই গুরুত্বের সাথে মিল রেখে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার গড়তে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অ্যাভিয়েশন ম্যানেজমেন্টে বিবিএ-এমবিএ করার।
অ্যাভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট কী
অ্যাভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট হলো এয়ারলাইন্সের ম্যানেজমেন্ট বা ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্পেশালাইজড কোর্স, যেখানে এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক যেমন—এয়ারলাইন্স কার্গো ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং ও সেলস, এয়ারপোর্ট অপারেশন, বোর্ডিং কনট্রোল, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, কাস্টমার রিলেশন, এয়ারক্রাফট লিজিং, এয়ারলাইন্স ফিন্যান্স, এয়ারলাইন্স পলিসি ও আইনকানুন প্রভৃতি শেখানো হয়। এটি একটি প্রফেশনাল শিক্ষামূলক কোর্স যেখানে ১৮টি বিষয় পড়ানো হয়, যা মূলত এসএসসি বা ‘ও’ লেভেল পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বেশি কার্যকর। ভ্রমণের আবেশ এবং গ্লামার থাকায় আধুনিক স্মার্ট পেশা হিসেবে তরুণরা এই পেশা পছন্দ করছে দারুণ ভাবে। শুধু তাই নয়, সাধারণ চাকরির তুলনায় এর বেতন হয় কয়েক গুণ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন শিক্ষার্থীকে এসএসসির পর গতানুগতিক ডিগ্রি পেতে ৭-৮ বছর সময় দিতে হচ্ছে যেখানে চাকরি পাওয়া সহজলভ্য হয় না। কিন্তু এ বিষয়ে পড়তে থাকা (ফাইনাল ইয়ার) অবস্থাতেই চাকরির অফার পেতে থাকে শিক্ষার্থীরা।