এইচএসসির পর সিএমএ ডিগ্রি নিতে চাইলে
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
প্রতিনিয়তই বাড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। বাড়ছে নতুন নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাব-নিকাশ পর্যন্ত নানা ধরনের কাজ করার জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষ ও অভিজ্ঞ হিসাবরক্ষক বা ব্যবস্থাপকের। এখন শুধু প্রাতিষ্ঠানিক সনদ থাকলেই ভালো চাকরি হয় না। এর সঙ্গে দরকার পেশাগত কিছু সনদ। এমনই এক ডিগ্রি হচ্ছে সিএমএ ডিগ্রি। সিএমএ হচ্ছে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টসের সংক্ষিপ্ত রূপ। ব্যবস্থাপনা আর হিসাব শাখায় দক্ষ পেশাজীবী তৈরির লক্ষ্যে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস (সিএমএ) পড়াচ্ছে দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন পত্রিকায় সিএমএ ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ভর্তি কার্যক্রম হবে অনলাইনে।
আবেদনকারীদের www.icmaberp.org এই ঠিকানায় গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। এরই মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। কোচিং প্রোগ্রামের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে ২১ জুন পর্যন্ত। আর করেসপনডেন্স প্রোগ্রামের প্রার্থীরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন। এই কোর্সটি করে আপনিও হয়ে যেতে পারেন দেশে বা বিদেশের ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বা হিসাবরক্ষক।
প্রতিষ্ঠানটিতে বছরে দুটি সেশনে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। জানুয়ারি থেকে জুন এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর। এখন জুলাই থেকে ডিসেম্বর সেশনের ভর্তি কার্যক্রম চলছে। এই সেশনে দুটি পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হতে পারবেন। ইন্টারমিডিয়েট এন্ট্রি রুট ও গ্র্যাজুয়েট এন্ট্রি রুট পদ্ধতিতে। ইন্টারমিডিয়েট এন্ট্রি রুট পদ্ধতিতে ভর্তি হতে হলে এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে জিপিএ ৮ পেতে হবে। আর গ্র্যাজুয়েট এন্ট্রি রুট পদ্ধতিতে ভর্তি হতে যেকোনো বিভাগ থেকে ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে। এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যন্ত পরীক্ষার ফল লাগবে কমপক্ষে ৬ পয়েন্ট।
আইসিএমএবির শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর সিরাজ বলেন, ‘এই সিএমএ কোর্সটি দুটি পদ্ধতিতে করানো হয়। একটি কোচিং পদ্ধতি এবং অন্যটি করেসপনডেন্স পদ্ধতি। যাঁরা কোচিং পদ্ধতিতে ভর্তি হবেন, তাঁদের নিয়মিত ক্লাস ও ক্লাস টেস্ট করতে হবে। আর করেসপনডেন্স কোর্সের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস করতে হয় না। শুধু অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিলেই হয়। তাই যাঁরা চাকরিরত আছেন, তাঁদের জন্য এই করেসপনডেন্স পদ্ধতিটি খুব সহজ হয়।’ শিক্ষার্থীদের ছয় মাসে একটি লেভেল শেষ করতে হবে। এ কোর্সটিতে ইন্টারমিডিয়েট এন্ট্রি রুট ছাত্রছাত্রীদের পাঁচটি লেভেল ও গ্র্যাজুয়েট এন্ট্রি রুট ছাত্রছাত্রীদের চারটি লেভেল সম্পন্ন করতে হবে। এই লেভেলগুলোর মধ্যে রয়েছে নলেজ লেভেল, বিজনেস লেভেল ও প্রফেশনাল লেভেল ১, ২ ও ৩।
ইন্টারমিডিয়েট এন্ট্রি রুট পদ্ধতির ছাত্রছাত্রীদের নলেজ লেভেলের জন্য ভর্তি ফি দিতে হবে ২০ হাজার ৬০০ টাকা। আর গ্র্যাজুয়েট এন্ট্রি রুট ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে বিজনেস লেভেলের জন্য ২৪ হাজার ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। প্রফেশনাল লেভেল ১, ২ ও ৩-এর জন্য ফি লাগবে যথাক্রমে ৮০০০, ১২০০০ ও ১৬০০০ টাকা।
সিএমএ করতে হলে ইন্টারমিডিয়েট এন্ট্রি রুট ছাত্রছাত্রীদের মোট পড়তে হয় ২০টি বিষয়। অন্যদিকে গ্র্যাজুয়েট এন্ট্রি রুট পদ্ধতির ছাত্রছাত্রীদের পড়তে হবে ১৭টি বিষয়। নলেজ লেভেলে পড়তে হবে প্রিন্সিপাল অব অ্যাকাউন্টিং, প্রিন্সিপাল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকস এবং ব্যবসায় যোগাযোগ—এই তিনটি বিষয়। আর বিজনেস লেভেলে পড়তে হবে পাঁচটি বিষয়। এ ছাড়া প্রফেশনাল লেভেল ১, ২ ও ৩-এ পড়তে হবে ৪টি করে মোট ১২টি বিষয়। আর এসব বিষয় পড়িয়ে থাকেন আইসিএবির বিভিন্ন সদস্য ও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
হাবিবুর সিরাজ বলেন, বর্তমান চাকরির বাজারে একজন সিএমএ ডিগ্রিধারীর অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই এই ডিগ্রি সম্পন্ন করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এনজিও, টেলিফোন কোম্পানি, মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান, এমনকি বিদেশেও চাকরির ভালো সুযোগ রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে : যাঁরা কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং পড়ে পেশা শুরু করতে চান, তাঁরা ভর্তি ও অন্যান্য তথ্য জানতে যোগাযোগ করতে পারেন আইসিএমএবির ঢাকাসহ দেশের অন্য শাখাগুলোতে। সারা দেশে এদের মোট পাঁচটি শাখা রয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্র: শিক্ষা বিভাগ, আইসিএমএবি ভবন, নীলক্ষেত, ঢাকা।
ফোন: ৯৬১৫৪৬০, ৯৬১১৭৯৯।
চট্টগ্রাম শাখা: ফোন: ০৩১-৭২৭৬৩৮।
খুলনা শাখা: ফোন: ০৪১-৭২২৩৩৫।
রাজশাহী কেন্দ্র: ফোন: ০৭২১-৭৫১০৯২।
কুমিল্লা কেন্দ্র: ফোন: ০৮১-৭৩৬৮৬
এ ছাড়া ভিজিট করতে পারেন www.icmab.org.bd এই ঠিকানায়।