মনোযোগী হতে হবে চাকরিতে

মনোযোগী হতে হবে চাকরিতে

উচ্চশিক্ষার শেষপর্যায়ে। কিছুদিন পরেই প্রবেশ স্বপ্নের চাকরিতে। স্বপ্নপূরণ নিজের। স্বপ্নপূরণ বাবা-মায়ের। সেই চাকরির শুরুটা কিংবা নিত্য রুটিন নিয়ে এখনই যারা উদ্বিগ্ন তারা ইচ্ছা করলে নজর বুলিয়ে নিতে পারেন একটুখানি।


  • দায়িত্বটা নিজের
 পেশাজীবন বা ক্যারিয়ার গঠন করার দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। এটা চাকরিদাতার দায়িত্ব নয়। আপনি যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সেখানকার কর্তৃপক্ষও আপনার ক্যারিয়ার গড়ে দেয়ার দায়িত্ব নেবে না। মনে রাখবেন, এটা আপনার মা-বাবারও কাজ নয়।
  • কাজ হোক শত ভাগ সুন্দর
 ঠিক ভালোও নয়, আবার খারাপও নয়, এমন কাজ করলে চলবে না। আপনার কাজটা অবশ্যই অনুকরণীয় হওয়া চাই। যেনতেনভাবে কাজ করলে আপনি কখনোই নজর কাড়তে পারবেন না। যদি সত্যিই ওপরে উঠতে চান, তাহলে অনন্য কাজ করে দেখাতে হবে। সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। সাফল্য পেতে নিজের উপযোগী উপায় বা পথগুলো খুঁজে বের করুন এবং দৈনন্দিন দায়িত্বের বাইরে সেগুলো সম্পাদন করুন। এতে স্পষ্ট হবে আপনি প্রতিষ্ঠানকে কতটুকু বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
  • পরিচর্যায় সব হয়

সফল হতে চাইলে নিজের ক্যারিয়ারটাকে একটা ব্যবসায়ের মতো গুরুত্ব দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নিজেকে একটা পণ্য মনে করুন, যার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য আপনাকে বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করতে হবে। ক্যারিয়ার মানে এ রকমই একটা ব্যাপার। ছাত্রজীবনেই নিজের ক্যারিয়ারের লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করে নিন। আর সেই পরিকল্পনা প্রতিবছর হালনাগাদ বা আপডেট করুন।

  • শত ভাগ পছন্দনীয় নয়

অনেকে এমন মনোভাব নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করেন যে কাক্সিক্ষত চাকরির শত ভাগই তাদের পছন্দ হবে। কিন্তু সত্যিটা হল, ব্যাপারটা সে রকম হবে না। আসলে কেউই নিজের কাজটার প্রতিটি অংশ পছন্দ করতে পারেন না। তাই খুঁজে বের করতে হবে চাকরির কোন দিকটা পছন্দের, আর কোনটা অপছন্দের। তারপর অপছন্দের দিকটাকে কীভাবে সহনীয় রকমের আকর্ষণীয় করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

  • নিজ সামর্থ্যরে প্রমাণ

প্রতিষ্ঠানের জন্য আপনি একটি সম্পদ, সে প্রমাণ বারবার দিতে হবে। মনে করুন, নির্দিষ্ট সময় এবং বরাদ্দের সীমার মধ্যেই আপনি একটি কাজ শেষ করেছেন। এটা আপনার সাফল্য। কিন্তু এ রকম কাজ আপনাকে আবার করে দেখাতে হবে। একবার অর্জিত সাফল্যের উদাহরণ দেখিয়ে বারবার পার পাবেন না। প্রতিদিন আপনাকে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। তাহলেই প্রতিষ্ঠান আপনাকে প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য হিসেবে গণ্য করবে এবং গুরুত্ব দেবে।

  • অহংকার একদম নয়

অহংকার পতনের মূল, এ কথা আমাদের সবারই জানা। উদ্ধত বা অহংকারী আচরণ আপনার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে দ্রুত পতন ঘটাতে পারে। চাকরি বা পেশাজীবনে উন্নতি করতে চান? ব্যবস্থাপনা বা নির্বাহী পর্যায়ের কোনো পদে পৌঁছাতে চান? তাহলে আগে আপনাকে শিখতে হবে, কীভাবে অন্যের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতে হয়। অন্যদের সঙ্গে সহজ আচরণ ও বিনয় আপনার ব্যক্তিত্বেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

  • পারদর্শিতাটা বিষয়ভিত্তিক

কোনো না কোনো বিষয়ে আপনাকে বিশেষ পারদর্শী হতে হবে। যখন বড় ধরনের বাধা বা সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন পড়ে, তখন লোকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়। আপনি যে কাজটি করছেন, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো বিষয়ে নিজের বাড়তি দক্ষতা অর্জন এবং নৈপুণ্য দেখানোর সুযোগ রয়েছে, খুঁজে বের করুন এবং সেভাবে অগ্রসর হোন। favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment