পড়ার বিষয় ব্যবসা তথ্য
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
পড়ার বিষয় যখন ব্যবসায়িক তথ্য তখন একটু খটকা লাগতেই পারে। এখানেই শেষ নয়, ব্যবসায়িক তথ্যের সঙ্গে আরও যুক্ত করা হয়েছে প্রযুক্তির নানা বিষয়! এ বিষয়টি এখন পড়া যাবে স্ন্নাতক পর্যায়ে। নাম-বিজনেস ইনফরমেশন টেকনোলজি। বিষয়টির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত তথ্যপ্রযুক্তি ও বাণিজ্যের বিভিন্ন বিষয়। এ বিষয়ে স্নাতক পড়তে হলে হিসাবরক্ষণ, অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা যেমন পড়তে হবে তেমনি পড়তে হবে তথ্যপ্রযুক্তির কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, সিস্টেম, সফটওয়্যার ডাটাবেজ প্রকৌশলও। বিজনেস ইনফরমেশন টেকনোলজিতে স্নাতক সম্পন্ন করা যাবে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি থেকে। দূরশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনউইচের অধীনে এ বিষয়টি থেকে সম্পন্ন হবে স্নাতক। অর্থাৎ শিক্ষার্থী এ দেশে বসেই পাবে ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনউইচের সনদপত্র।
পড়ানোর পদ্ধতি, যোগ্যতা ও খরচ
বিষয়টি যেহেতু ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনউইচের দূরশিক্ষণের কার্যক্রমের অংশ, তাই এর সব টার্ম পরীক্ষা নেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে সব পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। বিজনেস ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করতে হলে শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে কমপক্ষে ২.৫ জিপিএ পেয়ে পাস করতে হবে। যে কোনো বিভাগ কিংবা যে কোনো বর্ষে পাস করা শিক্ষার্থী এ বিষয় ভর্তি হতে পারবে। সেমিস্টার পদ্ধতির পড়াশোনায় শিক্ষার্থীকে এ বিষয়ে থেকে স্নাতক সম্পন্ন করতে হলে লাগবে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ১ হাজার ৭১০ ডলার। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে www.diit.info এ ওয়েবসাইট।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ
এ বিষয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে দেশে ও দেশের বাইরে। বিদেশে বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়া যাবে। এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী চাইলে স্নাতক পড়া অবস্থায় দেশের বাইরে ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে পারবে।
কাজের সুযোগ
এ বিষয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীর কাজের সুযোগ রয়েছে দেশে বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, উৎপাদননির্ভর প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ব্যাংকে। এছাড়া দেশের গ-ি পেরিয়ে বাইরেও রয়েছে অবারিত কাজের সুযোগ। বিভিন্ন রিসার্চ অরগানাইজেশনেও কাজ করতে পারবে রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে। এ প্রসঙ্গে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন এগিয়ে যাচ্ছে অ্যাপ্লাইড এডুকেশনের দিকে। কেননা প্রতিনিয়ত মানুষের নানা ধরনের চাহিদা বাড়ছে। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন প্রযুক্তিপণ্য। এসব প্রযুক্তিপণ্য তৈরির ক্ষেত্রে একজন প্রযুক্তিবিদের মাথায় রাখতে হয় বাণিজ্যিক বিষয়গুলো। সে ক্ষেত্রে যার প্রযুক্তি জ্ঞান ও বাণিজ্যিক জ্ঞান দুটোই রয়েছে, কর্মক্ষেত্রে সেই বেশি প্রাধান্য পাবে।’