স্নাতকত্ব লাভের পর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা
এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা যদিও খুব কম কাজ করে। তারা অনেক ছোট থেকেই পৃথিবীটাকে জয় করতে শিখেছে। নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করতে যুদ্ধ করে চলেছে ছোট্টটি থাকতেই। তারপরও বলাই বাহুল্য এমন অনেকেই আছেন যারা নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। শুধু গ্র্যাজুয়েশনটাই শেষ করেছেন কিন্তু বাইরের জগৎ সম্পর্কে ধারণা খুবই কম। আপনি হয়ত গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন বহু আগেই। এখনও এমন কিছুই করতে পারেন নি যেটি গর্বের সাথে সবাইকে বলতে পারেন। কোনো কাজেই মনকে বসাতে পারছেন না। বিশ্বকে অনেক বড় মনে হচ্ছে। ভাবছেন কিভাবে তৈরি করব নিজের অবস্থান। এমতাবস্থায় মেনে চলুন খুব সহজ ও কার্যকরী ৩ টি উপায় :
১. উদ্যোগী হোন :
সমগ্র বিশ্বে নিজের অবস্থানকে শক্ত করে তুলতে অবশ্যই প্রথমত আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। হ্যাঁ, উদ্যোগী ভূমিকা রাখুন কাজের সর্বক্ষেত্রে। ধরুন কোনো একটি কাজ আপনি শুরু করতে যাচ্ছেন। সেটি অবশ্যই হতে হবে গ্র্যাজুয়েশনের পরে তা না হলে পড়াশুনার ক্ষতি হতে পারে। কাজটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি পুরো প্রচেষ্টা দেয়ার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন যেন আপনার কাজটি পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ কাজ হয়। সব সময় প্রথম হওয়ার স্বপ্ন দেখলে প্রতিযোগিতার দৌরাত্মে প্রথম না হতে পারলেও কাছাকাছি যাবে। এ কারণে সবসময় শ্রেষ্ঠ চিন্তা করতে হবে, শ্রেষ্ঠ ফলাফল আশা করতে হবে। আপনার অক্লান্ত উদ্যোগের ফলাফল কখনই নেতিবাচক হতে পারে না। আপনি ছোট একটি অফিসে কাজ করলেও আপনার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করে যাবেন। মনে রাখবেন পৃথিবীতে ছোট বলে কোনোকিছু নেই। ইতিবাচক ফলাফল আপনার পক্ষে আসতে বাধ্য।
২. নিজেকে আবিষ্কার করুন :
অনেক সময় দেখা যায় বাবা মা তাদের সন্তানদের জোর করে থাকেন যে তোমাকে এই বিষয় নিয়ে পড়তেই হবে যদিওবা সন্তানের সেই বিষয়ের উপরে আগ্রহ একেবারেই নেই। সেক্ষেত্রে দেখা যায় হিতে বিপরীত হয়ে যায়। এমনিভাবেই গ্র্যাজুয়েশনের পরপরই বা সেই সময়টাতেই নিজেকে বিশ্লেষণ করে দেখুন আপনি কি পছন্দ করেন আর কি পছন্দ করেন না। যাচাই করে দেখুন আপনার কর্মদক্ষতা কতদূর পর্যন্ত এগুতে পারে। এই বিষয়গুলো হিসেব নিকেশ করে মাঠে নামা বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার যেই বিষয়ে কাজ করতে ভালোলাগে চোখ কান নাক বন্ধ করে সেই বিষয়ে কাজে লেগে যান। আপনার সাফল্য আসতে বাধ্য। কারণ স্বাভাবিকভাবেই কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে কাজ করে মজা পাওয়া যায় না পাশাপাশি সে কাজটাও ভালো হয় না। তাই খেয়াল করে দেখুন আপনার মাঝে কোন ধরনের কাজ করার ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতাকে পুঁজি করে সেই পছন্দের কাজে নেমে যান। বিশ্ব আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসবে।
৩. তাড়াহুড়ো করবেন না :
ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে কখনই ভুল করেও তাড়াহুড়ো করবেন না। তাড়াহুড়ো করলেই পা পিছলে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সবেমাত্র গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন, স্থিরভাবে আগে চিন্তা করুন আপনার ক্যারিয়ারটা কোনদিকে নিবেন, তারপরে একটি পরিকল্পনা করুন, এরপর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সামনে এগিয়ে যান। এক্ষেত্রে আপনি যদি তাড়াহুড়ো করেন, ভাবেন যে এই কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার ভালো একটা কিছু করতে হবে তাহলে বিপদে পড়তে হতে পারে। কারণ ভালো কিছু একদিনে আসে না। ভালো কিছু পেতে হলে কষ্ট করতে হয়, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয় সময়ের। একজন মানুষ খুব সহজেই ভালোকিছুর সন্ধান পায় না। এর জন্য অপেক্ষা করতে হয় বেশ কিছু সময়। হ্যাঁ এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা খুব কম সময়ে ভালো কিছু করতে পেরেছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। হতেই পারে, তবে সেটা সবার ক্ষেত্রেই হবে এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। এছাড়া যারা কোনো ভিত্তি ছাড়াই অনেক উপরে উঠেছে তাদের নিচে পড়ে যেতে বেশি সময়ও লাগে না। এজন্য তাড়াহুড়ো করে নয়, ধৈর্য সহকারে নিজের অবলম্বন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে ফলাফল স্থায়ী হবে এবং অবশ্যই ইতিবাচক হবে।