নার্সিং : সেবা ও পেশা
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
দেশে বাড়ছে শিক্ষিত বেকার। একজন বেকার সন্তান একটি পরিবারের জন্য বড় বোঝা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজন কর্মমুখী শিক্ষা। এ কর্মমুখী শিক্ষার অন্যতম হচ্ছে নার্সিং প্রশিক্ষণ। বর্তমান যুগে নার্সিং একটি আধুনিক মানের পেশা, যা ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য একটি সম্মানজনক। পাশাপাশি সেবামূলক পেশা হিসেবেও নার্সিংয়ের রয়েছে সামাজিক স্বীকৃতি। নার্সিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশ-বিদেশে অতি সহজেই চাকরি পাওয়া যায়। বর্তমানে অন্যান্য পেশায় চাকরি পেতে যত অপেক্ষা করতে হয় এ পেশায় ততটা হয় না। আপনি যদি সদ্য এইচএসসি পাস করেন তাহলে বিএসসি নার্সিং-এ ভর্তি হতে পারেন। নার্সিং-এ প্রশিক্ষণ নিয়ে এ পর্যন্ত কেউ বেকার নেই। আমাদের দেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অনেক অত্যাধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও হবে। এসব সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে এবং মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকায় নার্সিং-এর দক্ষ জনবলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। নার্সদের রয়েছে উচ্চ শিক্ষার ব্যাপক সুযোগ। বিএসসি নার্সিং পাস করার পর বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ আসছে। তারপর এমএসসি নার্সিং করতে পারলে সরাসরি লেকচারার সহকারী অধ্যাপক হিসাবে চাকরি পাওয়া যায়। নার্সিং-এ পিএইচডি ডিগ্রি করারও সুযোগ রয়েছে। বহির্বিশ্বে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নার্সিং-এ উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করছে। অন্যান্য বিশেষায়িত সাবজেক্টের ওপর ডিপ্লোমা করতে পারবেন এবং যে কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে পরামর্শ দিতে পারবেন। দেশ সেবার সুযোগ হিসেবে এই মহান পেশায় যে কেউ নিয়োজিত হতে পারেন। গতানুগতিক চাকরির আশা বসে না থেকে এ পেশায় আত্মনিয়োগ করে খুব সহজেই উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়া যায়।
কোথায় পড়বেন
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত নার্সিং কলেজগুলোতে রয়েছে ৪ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং কোর্স এবং দুই বছর মেয়াদী পোষ্ট বেসিক কোর্স। নার্সিং কোর্সে রয়েছে এনাটমি, ফিজিওলোজি, মাইক্রোবায়োলজি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার, ইংরেজি, ফান্ডামেন্টাল নার্সিং, নিউট্রেশন অ্যান্ড ডাইটেটিকস, সাইকোলজি, সাইকিয়াট্রিক নার্সিং, রিসার্চ স্টাডিজ, নার্সিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, নার্সিং ম্যানেজমেন্ট ও ইপিডেমিওলজি সহ বিভিন্ন বিষয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রণালয় কলেজগুলোর অবকাঠামো অনুযায়ী ছাত্রছাত্রী ভর্তির অনুমতি এবং পরবর্তী বছর থেকে নবায়নসহ সুযোগ-সুবিধার ভিত্তিতে কলেজগুলোতে বর্ধিত আসনের অনুমতি প্রদান করে থাকে।
যোগ্যতা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (জীববিজ্ঞানসহ) জিপিএ ন্যূনতম ৬ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ৪ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং কোর্সে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে আর দুই বছর মেয়াদি পোস্ট বেসিক কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃক ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও রেজিস্টার্ড নার্স হতে হবে।