অনলাইন ব্যবসায় সেরা ৫ ক্যারিয়ার
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
ই-কমার্স
এই মুহূর্তে অনলাইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহূত ব্যবসাই হচ্ছে ই-কমার্স। অনলাইনের মাধ্যমে কেনা-বেচা। শপিং মলে গিয়ে শপিং করার পুরোপুরি ফ্লেভার না থাকলেও গ্রাহকরা অনলাইনে নিজের পছন্দমতো প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার করছে, বাসায় বসেই ডেলিভারি পাচ্ছে। ইচ্ছে হলে পরবর্তীতে পণ্যটি ফেরত দেওয়া কিংবা বদলানোর সুযোগও থাকে। আমাদের দেশেও এখন অনেকগুলো ই-কমার্সের ব্যবসা রয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ই-কমার্সের ব্যবসাটি যতটা জনপ্রিয় হয়েছে, সেই তুলনায় আমাদের দেশে কিছুই না। এর বড় কারণ হলো মার্কেটিং, পণ্যের গুণগত মান নিশ্চয়তাসহ গ্রাহক সেবা। কিছু কিছু অনলাইনের দূর্নীতির জন্য অনেকেই অনলাইনে পণ্য অর্ডার করতে ভয় পান। তবে হ্যাঁ, ই-কমার্স মার্কেটের বিকল্প নেই ভবিষ্যতে। তাই একটি গ্রাহকের সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে, তার সেবা নিশ্চয়তা দিতে যা যা করণীয় এর সব কিছু যদি আপনি নিশ্চিত করতে পারেন। পাশাপাশি এর মার্কেটিংটাও যদি আপনি বড় আকারে করতে পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনি এই পেশায় সফল একজন হতে পারবেন। এই ব্যবসাকে ক্যারিয়ার হিসেবে ধরে অনেক দূর এগিয়েও যেতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি ব্যবসা, যেখানে নিজের কোনো পূঁজি থাকার একদমই প্রয়োজন নেই। যেমন ধরুন গত ৩ দিন ধরে আপনার ঠান্ডা জ্বর। ডাক্তারের কাছে গেলেন চিকিত্সার জন্য। ডাক্তার আপনাকে কিছুক্ষণ দেখে বললেন, কিছু মেডিকেল টেস্ট করা লাগবে। টেস্টের ফলাফল না দেখে আমি কোন ঔষধ দিতে পারব না। সাথে বলে দিলেন এবিসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্টগুলো করাতে। ডাক্তার কেন এবিসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম বললেন? তিনি তো অন্য কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামও বলতে পারতেন। এর কারণ হলো—পূর্ব থেকে ডাক্তারের সাথে এবিসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চুক্তি রয়েছে, যেখানে বলা ছিল- ডাক্তারের রেফারেন্সে যত রোগী এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসবেন তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকার উপর নির্দিষ্ট হারের কমিশন ডাক্তারকে দেওয়া হবে। ডাক্তার এই যে রোগীকে একটি রেফারেল দিয়ে নির্দিষ্ট অর্থ আয় করলেন এটিই উক্ত ডাক্তারের অ্যাফিলিয়েট আয়।
অন্যের পণ্য বা সেবা প্রচার এবং প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া বা বিক্রি করতে সাহায্য করা এবং সেটা থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন গ্রহণ করা হচ্ছে একজন মার্কেটারের অ্যাফিলিয়েশন আয়। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটাই অ্যাফিলিয়েশন মার্কেটিং। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করার যত উপায় আছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে তন্মধ্যে অন্যতম কার্যকরী মাধ্যম। এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচার চালিয়ে আয় করতে পারেন ইন্টারনেট মার্কেটাররা।
সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে চান সেগুলো হলো— ১. বিশ্বব্যাপী দ্রুত পণ্যের প্রচারণার জন্য, ২. বিক্রি বাড়ানোর জন্য, ৩. পণ্য বা সেবার মার্কেটিং খরচ কমানোর জন্য, ৪. পণ্য বা সেবার ব্র্যান্ডিং বাড়ানোর জন্য।
ওয়েব ডিজাইনিং
আপনার যদি ওয়েব ডিজাইন এবং HTML সম্পর্কে জ্ঞান থাকে তাহলে ওয়েব ডিজাইন করার কাজটিকে ব্যবসা হিসেবে নিতে পারেন। এখন এমন অনেকে অনলাইনে ব্যবসা করছেন যারা অচিরেই অয়েবসাইট খুলতে আগ্রহী। যাদের ওয়েবসাইট আছে, তাদেরও অনেকের সাইট অনেক দূর্বল ডিজাইনের কারণে আকর্ষনীয় হচ্ছে না। অনলাইনে থিম ফরেস্ট, প্রিমিয়াম সাইটসহ এ ধরনের অনেক ই-কমার্স সাইট আছে যেখানে আপনি আপনার বানানো ওয়েব টেমপ্লেটটি কমিশনের ভিত্তিতে বিক্রি করতে পারবেন। একই টেমপ্লেট বহুবারও বিক্রি হয় এসব সাইটে। তাই এই বাজারটি ধরার এখনই মুখ্য সময়।
মার্কেট প্লেস থেকে আয়
অনলাইনে ফাইভআর-এর মতো অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি যে ধরনের কাজ জানেন সেই কাজটিই করতে পারবেন। একজন কার্টুনিস্ট থেকে শুরু করে, ছবি এডিট, ডিজাইনসহ যত ধরনের অনলাইনভিত্তিক কাজ রয়েছে সবই করতে পারবেন। আপনি শুধু আপনার কাজের কিছু পোর্টফোলিও আপলোড করে রাখলেই আপনার কাজ দেখে আপনার কাছ থেকে তার কাঙ্ক্ষিত কাজটি করিয়ে নেবে। এখানে নিয়মিতই কাজ করা যায়, একে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে কাজ করছে অসংখ্য লোকজন।
ই-বুক লেখা
অনেক লেখক আছেন যারা বই লেখেন কিন্তু প্রকাশকরা তাদের বই প্রকাশ করছেন না বলে থেমে আছেন। মানুষ কিন্তু এখন কাগজের বইয়ের বাইরে অনলাইনে বই পড়তে প্রকটভাবে আগ্রহী হচ্ছে। খুবই কম খরচে ই-বুক হিসেবে নিজের লেখা প্রকাশ করতে পারেন। নিজের মেধাকে প্রকাশিত করে পরিচিতি বাড়াতে পারেন সহজেই এই পেশার মাধ্যমে। ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারলে এর বাজার এখন অনেক বড়।