যথা সময়ে ক্যারিয়ার গড়ুন
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে সুখের সময় হল ছাত্রজীবন। এই জীবনে নেই কোন বাঁধাধরা নিয়ম। পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে হৈহুল্লোর করে দিন কেটে যায়। কিন্তু শিক্ষাজীবন থেকে যারা যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করে তখন তাদের অনেক রীতিনীতি মেনে চলতে হয়। কারণ কর্মজীবন আর শিক্ষাজীবনের মাঝে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। প্রথম পরিচয় প্রথম কর্মজীবনে যখন কেউ প্রবেশ করবে তখন তাকে প্রতিটি পদক্ষেপ অনেক ভাবনাচিন্তা করে আগাতে হবে। অফিসে নতুন কলিগের সাথে ভদ্রভাবে করমর্দন করুন। মহিলা কলিগ হলে হাই, হ্যালো বলে পরিচিত হোন। ছাত্রজীবন থেকে প্রথম কর্মজীবনে প্রবেশ অতীতের চঞ্চলতা কিছুটা থাকতে পারে আচরণে তা কিছুতেই বোঝানো উচিত নয় কথা হবে ধীরে। অফিসে কখনই জোরে কথা উচিত নয়।
ছাত্রজীবনে বন্ধুবান্ধব মিলে হৈ চৈ করে চিৎকার করে কথা বলার অভ্যাস এখানে একদম চলবে না। কলিগদের সাথে ধীরে কথা বলা ভাল। অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে স্পষ্ট স্বরে কথা বলুন। মনে রাখবেন আপনার জোরে কথা বলার কারণে অন্য কারো কাজের যাতে কোন অসুবিধা না হয়। অনধিকার চর্চা অফিসে অন্য দুইজন হয়তো জরুরি কথা বলছে না বুঝে হঠাৎ কথা বলা ঠিক নয়। বলেও যদি ফেলেন তাহলে অবশ্যই সরি বলুন। নিজেই বেশি কথা না বলে অন্যকেও কথা বলার সুযোগ দিন। জরুরি কথা বলতে বলতে যদি হাঁচি বা কাশি আসে “এক্সকিউজমি” বলে নিন। নিজে পরিচিত হোন অফিসিয়াল কোন অনুষ্ঠানে গেলে নিজে নিজেই অতিথিদের সাথে পরিচিত হোন। ওখানে সবাই অতিথি কে কাকে পরিচয় করে দিবে। এতে নিজের পরিচয়ের পরিধি বাড়ছে এবং কর্মজীবনে এর প্রযোজনীয়তা অনেক।
অতিথিদের কারো চলে যাওয়ার সময় দীর্ঘ আলাপ জুড়ে না দেওয়াই ভালো। এতে পরিবেশ ভারী হয়। মনে রাখা উচিত কর্মজীবনে অনক প্রবীণ কলিগ পাবেন তাদের সাথে ভদ্রভাবে কথা বলবেন। দেখা হলেই সালাম দিন। কখনই নিজের মত যুক্তিতর্ক দিয়ে অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করাই ভাল। অন্যের অর্জনকে স্বীকৃতি দিন। কলিগদের কারো জন্মদিনে কোন উপহার দিতে না পালেও অভিনন্দন জানাতে ভুল করবেন না। পারলে একটা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পোশাকে পরিচ্ছন্নতা অফিসের পোশাক হওয়া উচিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সঠিক মাপের। বয়স, চেহারার গঠন, অনুষ্ঠান এবং সময় উপযোগী পোশাক বাছাই করতে হবে।
নিজের সাধ্য সামর্থ্যরে উপর ভিত্তি করে পোশাক তৈরি করুন। অন্যকে অনুকরণ না করাই ভলো। অফিসে সবসময় মার্জিত পোশাক পরুন। দেহের ভাষা দুজন কলিগ একসাথে হাঁটছেন কিন্তু আপনি বারবার এগিয়ে যাচ্ছেন এতে পাশের কলিগ বিব্রতবোধ। দুজন পাশাপাশি হাঁটুন। কথা বলতে বলতে সহকর্মীর মুখের সামনে চুইংগাম ফোলাবেন না। চেয়ারে কুজো হয়ে বসবে না। চেয়ারে বসার সময় মাঝখানে বসুন। বসে পা নাচাবেন না। হাই উঠলে মুখে হাত দিন । হাঁটুর উপর হাঁটু রাখার সময় খেয়াল করুন আপনার সামনে বয়স্ক কলিগ আছ কি-না। রাস্তায় বাস বা ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান। কোমর ভেঙ্গে দাঁড়াবেন না। অযথা ঘাড় ও মাথা চুলকাবেন না। ঘন ঘন শাড়ি, ওড়না বা চুল ঠিক করবেন না। কারো সামনে লিপস্টিক না লাগানোই ভালো আর কখনই কারো সামনে চুল আচড়াবেন না। কর্মজীবনে দেহের ভাষার পরিমার্জন খুবই জরুরি।