পরিবর্তনশীল বিশ্বের লক্ষ্যে…
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
গত ২ অক্টোবর বাংলাদেশে অশোকার ‘ইয়ুথ ভেঞ্চার’-এর উদ্বোধনের মাধ্যমে সমাপ্ত হলো অশোকা চেঞ্জমেকার উইক ঢাকা-২০১৬। ইয়ুথ ভেঞ্চার মূলত তরুণ উদ্যোক্তা ও পরিবর্তনে বিশ্বাসী কিছু মানুষের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক কমিউনিটি। তাদের মূল লক্ষ্য হলো, দেশ ও পৃথিবীর পরিবর্তনের লক্ষ্যে নতুন সব উদ্যোগ নিয়ে কাজ করা। এখন পর্যন্ত এই কমিউনিটি ২৪টি দেশ নিয়ে কাজ করছে। স্বভাবতই বাংলাদেশ সবচেয়ে নতুন সংযোজন এই পরিবারে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৯০টির মতো উদ্যোগের প্রস্তাব জমা পড়েছিল এই আয়োজনে। এর মধ্যে থেকে নির্বাচিত ১৩জন তাদের সৃষ্টিশীল আইডিয়া উপস্থাপন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে। আয়োজনের বিচারকদের সঙ্গে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও পরিচালক তারিন হোসেন মঞ্জু, টিম ইঞ্জিনের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামিরা জুবেরি হিমিকা, ফ্রেমওয়ার্ক চেঞ্জ অশোকার লিডারশিপ গ্রুপ মেম্বার শশীকুমার ভেলাথ, অশোকা ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ফেলো এবং জিটার প্রতিষ্ঠাতা সাইফ আল রশীদ। বিচারক ও বিশেষ অতিথিদের বিবেচনায় অংশগ্রহণকারী তিনটি দলকে বাংলাদেশ থেকে ইয়ুথ ভেঞ্চারের প্রথম সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
প্রতীক ও ইশারা ব্যবহার করে বিভিন্ন কমিউনিটিকে একত্র করা ছিল ক্রীয় নামের একটি ডিজাইন ফার্মের মূলনীতি। আর তাদের সঙ্গে আরও ছিল স্ট্রিট চিল্ড্রেন থিয়েটার ইনিশিয়েটিভ; যারা নাটক, নৃত্য ও কবিতার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে। এছাড়া ছিল ঝিঙ্ক, যারা মূলত আর্ট ফার্ম হিসেবে পরিচিত। ঝিঙ্ক সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় তাদের শুভেচ্ছা কার্ড বানানোর উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার জন্য। এই তিনটি দলের সঙ্গেই অশোকা কাজ করবে সমানতালে, বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবে আরও বৃহত্ অভিজ্ঞতার প্রয়োজনে।
অশোকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লাহ চৌধুরী রবিন বলেন, ‘আমাদের অশোকা চেঞ্জমেকার উইক বাংলাদেশে খুবই সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে।’ অশোকার রিইমাজিন লার্নিং টিম থেকে জেফরুন আফসারি বলেন, ‘এই অনুষ্ঠান মূলত বাংলাদেশের শিশু ও তরুণদের উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে ও বেড়ে উঠতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে পাঁচ বছরব্যাপী লক্ষ্য নিয়ে করা।’ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।