সময় বাঁচিয়ে করুন সব কাজ!
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
আমাদের কত কাজ করা হয় না সময়ের অভাবে। প্রতিদিন কত দরকারি কাজ জমে যায়। তারপর সপ্তাহ শেষে এত গুলো জমানো কাজ করতে করতে যেন মাথা নষ্ট। সারাক্ষণ ব্যস্ত, সারাক্ষণ এত কাজ করছি তবু কিছু কাজ বাকি রয়েই যাচ্ছে। কাজের সাথে সময়ের তাল না মিললে কিন্তু খুব বিপদ। কারণ তখন নিজের জন্য একদমই সময় পাওয়া যায় না। আর ঝুলে থাকা কাজের চাপ আমাদের অস্থির করে রাখে। কীভাবে বাঁচাবেন সময়, কীভাবে গুছিয়ে করবেন নিজের কাজগুলো? আসুন জেনে নিই কিছু টিপস-
ওভারটাইম করবেন না
বাড়তি সময় নিয়ে কাজ করা আপনার প্রডাকটিভিটি বাড়ায় না, বরং কমায়। নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে আপনার কাজ গুছিয়ে নিন। আপনি হয়ত ভাবছেন বেশীক্ষণ কাজ করে আপনি আপনার কাজগুলো গুছিয়ে নেবেন। ভুল। কারণ একদিকে বেশী সময় দিয়ে আপনি অন্য দিকের সময় কমিয়ে দিচ্ছেন। আপনার অন্যান্য কাজ জমে যাচ্ছে। যেগুলো পরদিন আবার আপনাকে আরও বেশী চাপে রাখবে।
‘না’ বলুন
আপনার কাজগুলোকে আগে গুরুত্ব দিন। অন্যের অনুরোধ রাখতে গিয়ে নিজের কাজ জমিয়ে রাখবেন না। সবসময় অন্যকে সাহায্য করা জরুরি নয়। প্রত্যেকেরই নিজের কাজ নিজের করা উচিৎ। আপনি অন্যকে সাহায্য করছেন। ভাবছেন, তার উপকার হচ্ছে। আসলে তা নয়। এভাবে মানুষটি পরনির্ভরশীল হচ্ছে।আপনার সময়কে, পরিকল্পনাকে নষ্ট করে এমন অনুরোধ রাখবেন না। বিনয়ের সাথে ‘না’ বলুন।
সব কাজ নিজে করবেন না
আপনার কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দিন। আপনি হয়ত চান আপনার সব কাজ পারফেক্ট হোক। আপনি ভাবছেন, অন্যকে কাজ দিলেই সে গরমিল করে ফেলবে। আসলে একা হাতে সব কাজ করতে গিয়ে আপনি কি সব কাজ পারফেক্ট করতে পারছেন? আপনার কাজগুলো আপনার হাতেই গরমিল হয়ে যাচ্ছে। র চেয়ে বরং কাজ ভাগ করে দিন। আপনি মনিটর করার দায়িত্ব নিন।
পারফেক্ট করা ছাড়ুন
সব কাজ পারফেক্ট করা জরুরি নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সব কাজ একেবারে পারফেক্ট করতে চান তারা প্রয়োজনের তুলনায় সব কাজে বেশী সময় ব্যায় করেন। কাজটির উদ্দেশ্য খেয়াল করুন। উদ্দেশ্য পূরণ করলে সমাপ্ত করে অন্য কাজে হাত দিন। একই কাজে বেশী সময় দেওয়া অনেক সময় কাজের মানকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
কিছু কাজ করে রাখুন
আমাদের কিছু কাজ থাকে যা আমাদের রোজই করতে হয়। যেমন, আপনাকে হয়ত ছবিতে একটা লোগো বসাতে হয়। সেটা রোজ করার মানে নেই। একবারে তৈরি করে সেভ করে রাখুন। কোন অংশ বার বার লিখতে হয়? সেটা একটা ফরমেট করে রাখুন। কাস্টমারের ফোন রিসিভ করতে হয়? একই প্রশ্নের উত্তর দেন বার বার? সেটা লিখে রাখুন। নিজেই বলে দিন তথ্যগুলো। এভাবে সময় বাঁচান।
পরিকল্পনামাফিক কাজ করলে আমরা অনেক কাজই যথা সময়ে শেষ করতে পারব। এতে যেমন কাজ ঠিকমত হবে তেমনি বাড়বে প্রডাক্টিভিটি এবং কমবে বাড়তি কাজের বিড়ম্বনা।