যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা ভিসা পেতে হলে
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
আমেরিকায় পড়াশোনা সবার কাছেই একটা স্বপ্নের মতো ব্যাপার। তবে সে স্বপ্ন পূরণ খুব সহজসাধ্য নয়। সুখবর হচ্ছে, এই দেশের ভিসা পাওয়ার বিষয়টি এখন আর পর্বত জয় করার মতো দুর্লভ কিছু নয়। এখন স্টুডেন্ট ভিসায় অনায়াসেই আমেরিকায় যাওয়া যায়। ইউএস অ্যাম্বাসি স্টুডেন্ট ভিসার প্রক্রিয়াটি সাধারণত স্বল্প সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করে থাকে। ফলে ভিসা পাওয়া যাবে কিনা এ নিয়ে দীর্ঘ সময় দোদুল্যমান বা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে হয় না। আমেরিকায় অগণিত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আবেদন করলে ওরা অবিলম্বে অ্যাকসেপটেন্সি লেটার পাঠিয়ে দেয়।
যোগ্যতা ও কাগজপত্র: এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রিকয়্যারমেন্ট অনুযায়ী প্রয়োজন হলে আইলটিএস দেখাতে হবে আর না থাকলে ইনটেনসিভ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম এবং মূল বা ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হয়। অন্যসূত্র মতে ইংলিশে পড়াশোনা করে না এলেও সাধারণত ন্যূনতম ৫.৫ আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হয়। আর ইংরেজি মাধ্যমে পড়া থাকলে আইইএলটিএস-এর প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া একাডেমিক পেপারস ও ব্যাংক স্টেটমেন্টস সার্টিফিকেট দেখাতে হয়।
কেমন খরচ: ব্যাংক স্টেটমেন্টে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রিকয়্যার অনুযায়ী ১ বছরের টিউশন ফি ও থাকা-খাওয়ার খরচ বাবদ ১৯ থেকে ২০ ইউএস ডলার ভিসা আবেদনের ৩ মাস আগে থেকে স্পন্সরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেখাতে হবে। টিউশন ফি প্রতিষ্ঠানভেদে বছরে ১৮-২০ হাজার ডলার হয়ে থাকে। ফলে কেউ ৪ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি পড়তে চাইলে ফিস লাগবে ৭২ বা ৮০ হাজার ডলার। তবে ফলাফলের ভিত্তিতে অর্ধ বা ফুল স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন দেশে এদের প্রচুর ভিসা প্রাপ্তির রেকর্ড রয়েছে।