আপনার সিভিই আপনার পরিচয়
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
একজন চাকরি-প্রত্যাশী হিসেবে আপনার সিভিটিই চাকরিদাতার নিকট আপনার প্রথম অভিব্যক্তি। আপনার পেশাগত সব তথ্যের সমন্বয়ে তৈরি আপনার সিভিটিই আপনার প্রতিনিধিত্ব করবে চাকরিদাতার নিকট। সাধারণত একজন চাকরিদাতা ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে থাকেন এক একটি সিভি দেখার জন্য। এই সময়ের মধ্যে চাকরিদাতা তাঁর সম্ভাব্য বা কাঙ্ক্ষিত কর্মীকে খোঁজার চেষ্টা করেন।
ভালো সিভি বলতে একটি পূর্ণাঙ্গ সিভিকে নির্দেশ করে থাকে। একটি পূর্ণাঙ্গ সিভি চাকরি-প্রত্যাশীর চাকরি নিশ্চিত করতে না পারলেও এটি চাকরি পাওয়ার একটি অন্যতম পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে থাকে। বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যোগ্য কর্মী ও চাকরি খোঁজা দুটি কাজই হয়ে থাকে অনলাইনে। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে বিভিন্ন জব পোর্টালে আপনার যে সিভিটি রয়েছে, সেটি আপনার পেশাজীবনের প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য দিয়ে সাজানো রয়েছে কি না, সেটি নিশ্চিত হওয়া জরুরি। অনলাইনে যে সিভিটি আপনি তৈরি করছেন, সেই ফরমের চাহিদামতো সব তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করাটা আপনার পেশাদারত্বে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সেই সঙ্গে নিয়মিত একটি পূর্ণাঙ্গ সিভি চাকরি-প্রত্যাশীর জন্য নিচের সুবিধাগুলো যোগ করে থাকে:
• আপনার সিভিটি চাকরিদাতা সহজেই খুঁজে পাবেন।
• চাকরিদাতা আপনার সম্পর্কে সংক্ষেপে একটি পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করতে পারেন।
• অপূর্ণাঙ্গ সিভি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চাকরিদাতা পড়েন না।
• সিভিটি আকর্ষণীয় হবে ও অন্যদের চেয়ে আপনাকে আলাদা করে উপস্থাপন করবে।
• এর মাধ্যমে চাকরিদাতার নিকট আপনার পেশাদারত্ব প্রকাশিত হয়।
বিশেষ করে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অন্যান্য যোগ্যতা-দক্ষতা, আগের চাকরির অভিজ্ঞতা, কোনো প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকলে তার বিবরণী, রেফারেন্স ইত্যাদি বিষয়গুলো আপনার সিভিতে উল্লেখ থাকা জরুরি, সেটা অনলাইন কিংবা হার্ডকপি-যেটাই হোক না কেন। একজন চাকরি-প্রত্যাশী হিসেবে আপনার পেশাগত সব তথ্যের সমন্বয়ে সাজানো আপনার পূর্ণাঙ্গ সিভিটিই হতে পারে কাঙ্ক্ষিত চাকরি লাভের সফলতম প্রথম পদক্ষেপ।