অদম্য তরুণী
- সংবাদ ডেস্ক
বগুড়ার নন্দীগ্রামের আত্মপ্রত্যয়ী ও জীবন যুদ্ধে সংগ্রামী বালিকা তিথি অটোভ্যান চালিয়ে বৃদ্ধ বাবা-মার সংসার চালায়। তিথি উপজেলার রানবাঘা গ্রামের ইয়াকুব আলীর কন্যা। বৃদ্ধ বাবা-মা আর ৬ ভাইবোন নিয়ে তাদের পরিবার। যে বয়সে তার স্বামী নিয়ে সংসার করার কথা কিন্তু গরীব বৃদ্ধ বাবা-মা’র অভাবের সংসারের কথা বিবেচনা করে এক প্রকার বাধ্য হয়েই তিথি জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিয়েছেন অটোভ্যান চালককের পেশা। তিথি জানায়, আমি প্রতিদিন নন্দীগ্রাম উপজেলার রানবাঘা বাজার হতে সিংড়া উপজেলার বোয়ালিয়া বাজার পর্যন্ত অটোভ্যান চালাই। এতে প্রতিদিন ২শ’ থেকে ৩শ টাকা রোজগার হয়। রোজগারের অর্ধেক টাকা দিতে হয় অটোভ্যান মালিককে। বাকি টাকায় চলে আমাদের গরীবের সংসার।
অভাবের কারণে লেখা-পড়া শেখা হয়নি তিথির। তাই ছোটখাট কোনো চাকরি পাবার আশাও নেই তার। সে কারণে জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিয়েছেন এই পেশা। নিজের দুঃখের কথা বলতে গিয়ে অশ্রুভরা চোখে তিথি বলেন, সংসার প্রতিটি নারীর জীবনে একটি স্বপ্ন। আমারও স্বপ্ন আছে সুন্দর একটি সচ্ছল সংসার করার। তবে একটি অটোভ্যানের মালিক না হওয়া পর্যন্ত ওসব নিয়ে ভাবছি না। নিজের একটি অটোভ্যান হবে বৃদ্ধা বাবা-মা’র সংসারে অভাবের দিন শেষ হবে এজন্য সারাদিন পরিশ্রম করি।
এদিকে ভ্যান চালানোর পাশাপাশি সে বিভিন্ন কাজও করে। বৃদ্ধা বাবা-মা’র সংসারের অভাব মোচন করার জন্য এ আত্মপ্রত্যয়ী বালিকা জীবন যুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম করে চলেছে। এলাকাবাসী তিথিকে সাহায্য করার জন্য সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।