কর্মক্ষেত্রে আবেগ ও বুদ্ধিমত্তা
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
ছেলে থেকে বুড়ো সবার কাছ থেকেই হয়তো শুনেছেন, ‘তুমি বেশি আবেগী; জীবনে কিছু করতে পারবে না।’ আপনি কান কথায় কান না দিয়ে গবেষণায় মন দিন। গবেষকদের মতে, আবেগ আর বুদ্ধিমত্তার মিশেলে গড়ে ওঠা মানুষই অনেক বেশি প্রতিশ্রুতিশীল। শুধু তাই নয়, যে কাউকে হটিয়ে তারা প্রথম সারিতে চলে আসতে পারে!
নিজের দোষ : আবেগীরা নিজেদের দোষটা ভালোই জানে। না জানলেও নিজের দোষটা খুঁজে বের করতে পারে। আর তাই কী করে সব ঠিকঠাক রেখে নিজের মতো কাজ করা যায় সেই পথটাও তারা বের করে নিতে পারে।
সংকটে নেতৃত্ব : বুদ্ধিমানদের চেয়ে আবেগীরা অল্পতেই বেশি কষ্ট পায়। তবু তারা খুব সহজে তা সামলে নেয়। বিপদে পিছু না হটে তা মোকাবেলা করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। ফলে সংকটে তাদের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে নেতৃত্ব!
সুস্থ সম্পর্ক : যাদের আবেগ আকাশ সমান তারা পরের কষ্ট সহজেই বুঝতে পারে। আর তাতে যদি খানিকটা বুদ্ধিমত্তা যোগ হয় তবে ব্যাপারটা হয় অন্যরকম। এতে তারা নিজেরা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাকেও যাচাই করতে শেখে। সেই সঙ্গে সামনের মানুষটার অতিরিক্ত রাগ কিংবা অস্বাভাবিক আচরণকেও ভুল না বুঝে নিজেকে তার জায়গায় দাঁড় করিয়ে ভাবতে পারে।
বাইরের প্রভাব : নিজের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে চারপাশের কথা বেদবাক্য মনে না করে তারা মনের কথা শোনার চেষ্টা করে। ফলে নিজের সিদ্ধান্তে দাঁড়িয়ে তারা যেতে পারে অনেক দূর!
ট্র্যাজিক হিরো : আমাদের আশপাশে অনেককেই দেখা যায়, সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজের চেয়ে অন্যের কথাকে বেশি প্রাধান্য দেয় তারা। কিন্তু আবেগীরা অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে থাকে সচেতন। নিজে যেটা ভালো মনে করে সেটাই করে তারা। ফলে ভালো সিদ্ধান্তটাই বেরিয়ে আসে। যাকে বলা যায় নায়কীয় সিদ্ধান্ত!
সফলতার সিঁড়ি : অতীত এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় উঁকি দিয়ে গেলেও বর্তমান ভালো লাগার সঙ্গে ভেসে যেতে খুব বেশি সময় লাগে না। ফলে অন্যদের মতো পিছুটানের জন্য সফলতার সিঁড়ি বাইতে সমস্যা হয় না আবেগীদের।
কান কথা : এ ছাড়াও আবেগীদের নিয়ে অনেকেই কান কথা বলে। এই কান কথা বেদবাক্য হয়ে কাজ করে আবেগীদের মধ্যে। তারা নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় খুঁজে পায় এই কান কথার ভেতর। ফলে এগিয়ে যাওয়ার নতুন মন্ত্র নিয়ে তারা পথে নামে!