কর্মী রবে উৎফুল্ল !
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
ডিউক ইউনিভার্সিটির খ্যাতিমান বিহেভিয়োরাল ইকোনমিস্ট ড্যান অ্যারিলাই। নিউ ইয়র্ক টাইমসের তালিকায় থাকা কয়েকটি ‘বেস্টসেলার’ বইয়ের লেখক তিনি। তাঁর সাম্প্রতিক বইটির নাম ‘পে-অফ : দ্য হিডেন লজিক দ্যাট শেপস আওয়ার মোটিভেশনস’। এ বইয়ে তিনি তুলে ধরেছেন, কী কী কৌশলে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত রাখা যায়। আজকের টিপস সেসব কৌশল নিয়েই।
অর্থপূর্ণ বিষয়
ড্যানের মতে, কাউকে কাজে অনুপ্রাণিত করতে হলে ওই কাজের মর্মার্থ তাকে বোঝাতে হবে। না হলে সে নিজেকে গিনিপিগ ভাবতে শুরু করবে। সে ভেবে বসবে, যে বিষয় নিয়ে দৌড়াচ্ছে, তা অর্থহীন এবং এর কোনো শেষ নেই। কাজের গুরুত্ব এবং প্রভাব স্পষ্ট না হলে তা করে লাভ কী? এমন অর্থহীন কাজের পিছে ঘাম ঝারানোর উৎসাহ কোনো কর্মীই পাবে না।
স্বীকৃতি
এটাকে জাদুকরি বিষয়ও বলা যেতে পারে। বিশেষ করে একজন বস এবং তাঁর অধীনস্থ কোনো কর্মীর মধ্যকার সম্পর্কে এটা দারুণ কাজ করে। কর্মীর কাজকে অবহেলার চোখে দেখলে সে নিমেষেই প্রেরণা হারাবে। ড্যানের মতে, অফিসের পেছনে কর্মী যে শ্রম দিচ্ছে, তা হেয় করলেই ওই কর্মী আর কাজের অর্থ খুঁজে পাবে না। বিপরীতে, নিমেষের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত কর্মীকে কাজে ফিরিয়ে আনা যায় কেবল স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে।
উপলব্ধির পরিবর্তন
মানুষ মাত্রই এমন কিছু তৈরি করতে পছন্দ করে, যা টেকসই ও বাস্তবিক। আমরা সবাই দেখতে চাই, আমাদের কাজগুলো শেষ পর্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ আশাবাদ থেকে একবার বেরিয়ে গেলেই কাজের ইচ্ছা মরে যাবে। এ কারণে কর্মীদের বলুন, আগের প্রজেক্টে তাদের সৃষ্টিশীলতার কারণেই নতুন আরেকটি প্রজেক্ট শুরু করা সম্ভব হয়েছে। এতে কাজগুলোকে কর্মীরা নিজের বলেই মনে করবে। তারা কখনো উদ্দীপনা হারাবে না।
আর্থিক পুরস্কার
এটা কর্মীর মধ্যে উদ্যম বাড়াতে খুবই কাজে দেয়। কারণ, এটা এক ধরনের স্বীকৃতি। অনুপ্রেরণা দেওয়ার সর্বোত্তম উপায় হতে পারে আর্থিক পুরস্কার। এর মাধ্যমে কর্মীর পারফরম্যান্স সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব।