সৃজনশীলরা কেন বেশি বেশি ‘না’ বলেন
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
হাঙ্গেরিয়ান একজন মনোবিদ্যার প্রফেসর কিছুদিন আগে তার একটি বইয়ের বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সে বইতে তিনি তুলে ধরেছিলেন কত মানুষ বেশি মাত্রায় ‘না’ বলেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
ম্যানেজমেন্ট লেখক পিটার ড্রাকার বলেন, উৎপাদনশীতা বৃদ্ধির অন্যতম গোপন সূত্র হলো (সৃজনশীলতা বাদে) একটি বড় বর্জ্য কাগজ ফেলার ঝুড়ি রাখা। আপনাকে করা যাবতীয় আমন্ত্রণ এতে রাখতে হবে। আর যেকোনো অপ্রয়োজনীয় কাজকে ফেলতে হবে।
সেক্রেটারি থেকে লেখক হয়ে ওঠা সল বেলো বলেন, ‘মি. বেলো আমাকে জানিয়েছেন তিনি তার জীবনের দ্বিতীয়ার্ধে সৃজনশীল ছিলেন। কারণ তিনি নিজেকে অন্যদের গবেষণার বিষয়বস্তু বানাননি।’
ফটোগ্রাফার রিচার্ড অ্যাভেডন বলেন, ‘দুঃখিত- খুবই অল্প সময় আছে।’
গিয়োরগি লিগেটি বলেন, ‘তিনি একজন সৃজনশীল এবং এ কারণে অত্যন্ত বেশি কাজ করতে হয়। আর এ কারণে আপনি তার সৃজনশীল কাজের বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন আর তিনিও একই কারণে আপনাকে সহায়তা করতে পারছেন না। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ব্যক্তিগতভাবে আপনার চিঠির উত্তর দিতে পারবেন না। কারণ, তিনি বেহালা কনসার্টের জন্য অনুশীলনে অত্যন্ত ব্যস্ত দিন পার করছেন, যা এই শরৎকালে হবে।’
একইভাবে ২৭৫ জন সৃজনশীল মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের এক তৃতীয়াংশই সে প্রফেসরকে ‘না’ বলে দেয়। তাদের কারণ ছিল সময়ের অভাব।
এক-তৃতীয়াংশ কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। এর কারণও হয়ত সময়ের অভাব কিংবা সেক্রেটারির অভাব।
সৃজনশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়। এর জন্য প্রয়োজন হয় পড়াশোনা ও অনুশীলন। আর এর মাধ্যমেই সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। আর এ কারণেই সৃজনশীল ব্যক্তিরা সময় নষ্ট না করার চেষ্টা করেন।