অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
প্রতিটি দেশেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কিছু নিয়ম–কানুন প্রচলিত রয়েছে। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে চান তবে আপনাকে কিছু বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে হবে। যা সে দেশে আপনার শিক্ষা গ্রহণের পথ সহজ করে দেবে।
পেশা নিয়ে পরিকল্পনা: সর্বপ্রথম একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে চিন্তা করতে হবে তিনি তার পেশার জন্য কোন ধরনের কোর্স বা বিষয়ে আগ্রহী। পাশাপাশি ওই কোর্স সম্পন্ন করার জন্য তার বর্তমান যোগ্যতা কতটুকু, সংশ্লিষ্ট কোর্সটি সম্পন্ন করতে কী পরিমাণ সময় ও অর্থ ব্যয় হবে তাও জানা জরুরি। সর্বোপরি তিনি কোথায় এ বিষয়ে পড়তে আগ্রহী ঠিক করা দরকার।
বিষয় নির্বাচন: অস্ট্রেলিয়া সরকার তাদের যেসব বিষয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ দেয় সেগুলো থেকে একজন শিক্ষার্থীর নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পূর্বপরিকল্পিত বিষয় বেছে নিতে হবে। সরকারি ওয়েবসাইটগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের পছন্দ করা বিষয়টি যে সব প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ আছে তা সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে একাধিক প্রতিষ্ঠান বাছাই করা যায়। এর পরপরই দেখতে হবে বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি পড়ার জন্য একজন ছাত্র বা ছাত্রীর কী কী যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। যোগ্যতার পরিমাপ প্রতিষ্ঠানটির মান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। কিছু কিছু বিষয়ে যেমন এমবিএ ভর্তির জন্য কাজের অভিজ্ঞতা একটি পূর্বশর্ত হতে পারে।
আবেদন প্রক্রিয়া: একজন শিক্ষার্থী একাধিক বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানে পৃথকভাবে ভর্তির আবেদন করতে পারেন। ভর্তির আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায় অথবা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি শাখায় যোগাযোগ করলে তারা সাধারণ ‘অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ’ পোস্ট করে দেয়। আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণের পর আবেদনকারীকে তার একাডেমিক রেকর্ডের পূর্ণ বিবরণ (মার্কশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট) ও সনদ, ইংরেজি ভাষার যোগ্যতা যেমন আইইএলটিএস ও অভিজ্ঞতা সনদ সংযুক্ত করতে হবে। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্ট যেমন আইভিপি অস্ট্রেলিয়ার মাধ্যমে বা সরাসরি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি শাখায় পোস্ট করতে পারে।
ভিসার আবেদন: একজন আবেদনকারীকে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অফার লেটার পেলে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদনের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ভিসা আবেদন ফিসহ জমা দিতে হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভিসার জন্য আবেদনের আগে এক সেমিস্টারের টিউশন ফি পরিশোধ এবং অস্ট্রেলিয়া সরকার অনুমোদিত যে কোনো কোম্পানির সঙ্গে এক বছরের মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তির নিশ্চয়তা সনদ ইস্যু করে। এ ছাড়া আবেদনকারীকে পড়ালেখার সময় খরচ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় দলিলস্বরূপ ব্যাংক হিসাব নম্বর জমা দিতে হয়। অবশ্য বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দরকারি খরচের জোগান তাদের বৃত্তি থেকে দেখাতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন আবেদনকারীর সব তথ্য পেয়ে সন্তুষ্ট হলে তার অনুকূলে প্রি-ভিসা ইস্যু করে।
যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে: যেসব শিক্ষার্থী দুই বছরের স্নাতক পর্যায়ের পড়ালেখা করবেন তারা দুই বছরে আর যারা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের তারা তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিট পান। এ পারমিট চলাকালীন যেসব শিক্ষার্থী স্থানীয় কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন তারা এর ভিত্তিতেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন। ছাত্রত্ব থাকা অবস্থায়ও একজন শিক্ষার্থী সে দেশে প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ায় কাজের পারিশ্রমিক অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের প্রতি বছরই বৃত্তি দেয় সে দেশের সরকার। তা ছাড়া দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা মেধাবৃত্তি নামে এ ধরনের বৃত্তি দিয়ে থাকে।
কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়
ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন
www.unimelb.edu.au
ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড
www.eq.edu.au
ইউনিভার্সিটি অব সিডনি
www.usyd.edu.au
মোনাশ ইউনিভার্সিটি
www.monash.edu.au
ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস
www.unsw.edu.au
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
www.anu.edu.au
ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেড
www.adelaide.edu.au