চাকরির ভাবনায় যারা অস্থির…
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
গ্র্যাজুয়েশন করার আগেই চাকরির চিন্তা মাথায় ঢোকে অনেকের। কারও আবার গ্র্যাজুয়েশন শেষে। তবে আগে-পরে যখনই হোক না কেন, চাকরির পথে নামতেই হয় আমাদের। এই পথে নামতে গিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন। বলি, চাকরির ভাবনায় যারা অস্থির ও দ্বিধান্বিত, তারা দ্বিধার মেদ ঝেড়ে নিজেকে কিছু মৌলিক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করান।
মুখোমুখি আয়নায়
আপনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজেকে যেই মৌলিক প্রশ্নগুলো করতে পারেন, সেগুলো হতে পারে এমন-
মোটামুটি পকেট খরচ উঠে যাবে- এমন চাকরি খুঁজছেন, নাকি খুঁজছেন ক্যারিয়ার গড়ার মতোই সিরিয়াস কিছু?
যে চাকরিটি করছেন, সেই পেশাতেই থাকতে চান, কিন্তু অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে?
চলতি চাকরিতে যতটুকু করার ছিল, সবটাই করা হয়ে গেছে; এখন বুঝি চান নতুন চ্যালেঞ্জ?
নাকি পদোন্নতি ও ক্যারিয়ারের অগ্রযাত্রাই আপনার প্রকৃত চাওয়া?
সমাধানের আগে
এসব প্রশ্নের যথাযোগ্য জবাব খুঁজে নেওয়ার আগে যাচাই করে নিন, কোন কাজটির প্রতি আপনার আগ্রহ বেশি আর আপনার দক্ষতাই বা কোন ক্ষেত্রে। তার ওপর ভিত্তি করে ঠিক করুন প্রশ্নগুলোর উত্তর। এরপরই খুঁজতে নামুন চাকরি।
চাকরির ধরন
কী ধরনের চাকরি খুঁজছেন- নিজের সঙ্গে এতক্ষণের বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সেটি নিশ্চয়ই পরিষ্কার হয়ে উঠেছে আপনার কাছে? তবু আরেকটু বোঝাপড়া করে নেওয়া যাক চাকরির ধরন নিয়ে; কী বলেন?
স্থায়ী চাকরি : ক্যারিয়ারের অগ্রযাত্রা যদি অব্যাহত রাখতে চান, তাহলে কোনো একটা স্থায়ী চাকরি খুঁজে নেওয়াই আপনার জন্য মঙ্গল। সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিতে আপনার অবস্থান দিন দিন জোরালো হবে এবং চাকরির নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাবে।
অস্থায়ী চাকরি : আপনি যদি উড়োমনা হয়ে থাকেন, যদি নানা ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা নেওয়ার ইচ্ছা কাজ করে আপনার মনে, তাহলে অস্থায়ী চাকরির দিকে ঝুঁকে পড়াই ভালো।
চুক্তিভিত্তিক চাকরি : অস্থায়ী চাকরি আর চুক্তিভিত্তিক চাকরি অনেক দিক থেকেই অভিন্ন। তবে চুক্তিভিত্তিক চাকরির সুবিধা হলো, এ ক্ষেত্রে আপনার জানা থাকবে চাকরির মেয়াদ; ফলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন। তা ছাড়া এ ধরনের চাকরিতে সাধারণত বেতন-ভাতা মন্দ হয় না।
ইন্টার্নশিপ : আপনাকে পেশাদার হিসেবে অভিজ্ঞ করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ইন্টার্নশিপ। তবে খেয়াল রাখবেন, এ ক্ষেত্রে সাধারণত মেয়াদ হয়ে থাকে ৮-১২ সপ্তাহ আর তা পুরোপুরিই অবৈতনিক।
ভলান্টিয়ারিং : ক্যারিয়ার শুরুর আগে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য ভলান্টিয়ারিং শুরু করাটাও নেহাত মন্দ আইডিয়া নয়। এটি আপনাকে ভবিষ্যতে ভালো চাকরি পেতে সহায়তা করবে।
কাজের ক্ষেত্র
কোন ক্ষেত্রে কাজ করবেন, সেটি আগে থেকে ঠিক করে নেওয়াই ভালো। তা না হলে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। তাই কাজের ক্ষেত্রটি ঠিক করে নিয়ে, সেই ক্ষেত্রের শূন্য পদগুলোতে যথাযথভাবে আবেদন করুন। আর প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়ার আগে মাথায় রাখুন। আপনার কর্মপ্রতিষ্ঠান যদি বড় হয় তাতে কাজের পরিধিও বড় হবে; সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সুযোগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিখ্যাত কোনো প্রতিষ্ঠানে ছোট পদে নিয়োগ পাওয়াটাও অনেক ক্ষেত্রে ছোট প্রতিষ্ঠানে বড় পদে নিয়োগ পাওয়ার চেয়ে ভালো।