বন্যার আগাম সর্তকতা জানাবে বিপ্লবের যন্ত্র
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
বন্যার আগাম সর্তকতা জানিয়ে বার্তা পাঠানোর যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন বগুড়ায় এক যন্ত্র প্রকৌশলী। তিনি হলেন মাহমুদুন নবী বিপ্লব। তার দাবি স্বল্প খরচে এই যন্ত্রটি নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় স্থাপন করা হলে, বন্যার সময় দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ও প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব। এরই মধ্যে যন্ত্রটি ঢাকার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে চূড়ান্ত মনোনয়ন অর্জন করেছে। এছাড়া যন্ত্রটির সুফল সম্পর্কে বগুড়া ও লালমনিরহাটে সেমিনার হয়েছে। এখন সরকারি সহযোগিতা পেলে তা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
উদ্ভাবিত যন্ত্রটি কাজ হচ্ছে নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথেই সংকেত পাঠাবে। সেই সাথে বন্যার পানি বাড়ার অনেক আগে থেকেই অবিরাম সাইরেনের আওয়াজে সতর্ক করবে উপকূলের লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাবার জন্য। বন্যার সময় ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে নদীর স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক গতি প্রবাহ দূর থেকে জানা যাবে স্বয়ংক্রিয় এই যন্ত্রটির মাধ্যমে।
যন্ত্রটির উদ্ভাবক বিপ্লব বগুড়ার সরকারি পলিটেনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাওয়ার বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা করেছেন ১৯৯৫ সালে। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহরের রিয়াজ কাজী লেনের একটি হাউজিংয়ে বসবাস করেন। শহরের মেরপুর রোডে ‘কাঁকন রেফ্রিজারেটর’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এসি ও ফ্রিজ মেরামতের কাজ করেন। তার বাবার নাম কলিমউদ্দিন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত। চার সন্তানের জনক।
বিপ্লব জানান, তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটি সৌর বিদ্যুত্ দ্বারা পরিচালিত। নদী তীরে সুবিধাজনক স্থানে ২৫ মিটার উঁচু টাওয়ারের উপর বসালে এর সেন্সর ও তিন রংয়ের (লাল, হলুদ, সবুজ) স্বয়ংক্রিয় বাতির মাধ্যমে পানির উচ্চতার তারতম্যের সংকেত চর এলাকার মানুষ জানতে পারবে। এতে করে তারা বন্যার পানি আসার আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাবার সুযোগ পাবে। এই সিস্টেমে একটি স্বয়ংক্রিয় সেন্সর থাকবে যা পানির উচ্চতার তারতম্যের ফলে টাওয়ারে সংকেত প্রেরণ করবে। স্বয়ংক্রিয় বন্যা সতর্কতা যন্ত্রটি তৈরিতে খরচ পড়বে মাত্র ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন বিপ্লব।