ক্যাপসিকাম চাষ করে লাখপতি মাস্টার্স পাশ রাসেল

ক্যাপসিকাম চাষ করে লাখপতি মাস্টার্স পাশ রাসেল

  • নাহিদ হাসান

ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ একটি জনপ্রিয় সবজি। বিশ্বজুড়ে রয়েছে এর জনপ্রিয়তা। দেশীয় সবজি না হলেও এখন এ সবজির চাষ করা হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের একটি অংশজুড়ে। একচাটিয়া আলু চাষ করে বছর বছর নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন এই এলাকার চাষীরা। তাই নতুন কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে মুন্সিগঞ্জের হামিদপুর গ্রামের কামরুল হাসান রাসেল মুক্ত দুই প্লটে এক বিঘা জমি নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করেন ক্যাপসিকামের।

কামরুল হাসান রাসেলের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার হামিদপুর গ্রামে। তিনি ফার্মেসিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। এখন তিনি গ্রামের এক আদর্শবান চাষি, অন্যদের অনুপ্রেরণার উৎস।ক্ষেতভরা মিষ্টি এই মরিচ দেখে খুবই অবাক এলাকার মানুষ। এই যুবক এখন মুন্সিগঞ্জে ক্যাপসিকাম রাসেল নামেই পরিচিত।

রাসেল জানান, চাষে বৈচিত্র্য, কৃষিতে লাভবান এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এই লক্ষ নিয়ে কাজ করছি। আলু চাষ করে প্রতিবছর নানান চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এলাকার চাষীরা। বিকল্প নতুন এই চাষে সাফল্য আসায় খুশি তার পরিবার ও এলাকাবাসী। অনেক পরিশ্রমের পর এখন গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে সবুজ ক্যাপসিকামের। নিবিড় পরিচর্যা ও সময়মতো ঔষধ প্রয়োগ করতে পারলে এ সবজির চাষ জেলায় সম্প্রসারণ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।তার এই সফল চাষ দেখে অনেকেই এগিয়ে আসছেন ক্যাপসিকাম চাষে। গাছগুলো ভালো হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। এটি সবজি হিসেবে যে কোনো খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়। ক্যাপসিক্যামে মরিচের মতো গন্ধ থাকলেও খাওয়ার সময় ঝাল লাগে না। প্রচুর পুষ্টিগুণ আছে বিদেশি এ সবজিটিতে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, কৃষক না হয়েও ক্যাপসিকাম রাসেল কৃষিতে বড় ধরনের সফলতা পেয়েছেন। মুন্সিগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু হয়েছে। এটি লাভজনক চাষ। এটির বেশ চাহিদাও রয়েছে বাজারে। জেলাব্যাপী ক্যাপসিকাম চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে কাজ শুরু করছে।

নাহিদ হাসান
শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Sharing is caring!

Leave a Comment