সদিচ্ছায় উদ্যোক্তা
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
‘প্রসাধনের ব্যাপারে আমার এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করত। আমি নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ও সৌন্দর্যের ব্যাপারে নানারকম প্রসাধন ব্যবহার করতাম। শুধু আমি কেন, বিশ্বের সব মেয়েরই তো নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার একটা ইচ্ছা থাকে। প্রসাধন আমি বিভিন্ন অনলাইন থেকে কিনতাম। দেখতাম প্রসাধনগুলো এত দামি। কিন্তু মান ভালো। একটু মন খারাপ হতো। কীভাবে সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে আমি আমার এই সৌন্দর্যচর্চা অব্যাহত রাখতে পারি। মাথায় ঘুরপাক খেত সারাক্ষণ এই চিন্তা। এই চিন্তার সূত্রপাত থেকেই হাঁটি হাঁটি পা পা করে একজন নারী হয়ে উঠেন উদ্যোক্তা। বলছিলাম মারিয়া হোসাইনের কথা। সৌন্দর্যচর্চায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যিনি হয়ে ওঠছেন একজন তরুণ উদ্যোক্তা।
প্রসাধনী ব্যবহারে সবার মনে একটু খুঁত খুঁতে ভাব থেকে যায়। আমি যা ব্যবহার করছি তা ভালোমানের প্রসাধনী তো? এই ভালোমানের প্রসাধনীর জন্যই মারিয়া হোসাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে তার ক্রেতাদের ভালোমানের প্রসাধনী ভোগ করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। ঘরে বসেই এখন ক্রেতা খুব সহজেই তার কাছ থেকে পছন্দের সামগ্রীটি কিনতে পারেন।
প্রথমে আমি দেশের বাইরে থেকে নিজের ব্যবহারের জন্য প্রসাধনী আনতাম। পরবর্তীতে দেখি অন্য অনলাইনগুলো থেকে যে মূল্যে আমি প্রসাধনী ক্রয় করি তার থেকে কম দামে পাওয়া যায়। শিশুদের কাপড় আমি আমার পছন্দের মানুষদের কাছে বিক্রি করতে পারি। এবং সেই থেকে ছোট পরিসরে শুরু করি। এখন আল্লাহর রহমতে আমি আমার ক্রেতাদের পছন্দের সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারি। সবাই এই প্রসাধনী ব্যবহার করে খুশি। আমার ভালো লাগে ঘরে বসে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়া সবাই তাদের পছন্দের জিনিসগুলো পেয়ে যাচ্ছে এবং ব্যবহার করে খুব খুশি।’- বললেন মারিয়া হোসাইন।
অনলাইনে প্রসাধন সামগ্রী বিক্রি করে মারিয়া হোসাইন যেমন আত্মতৃপ্তি বোধ করেন, তেমনি তার ক্রেতারা যখন প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, তখন আবেগাপ্লুত হন তিনিও।