কানাডায় ড্যাফোডিল অ্যালামনাইদের মিলনমেলা
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কানাডার টরেন্টোর নুরুজ্জামান। ঘরোয়া ক্লাসিক ব্যঙ্কুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নন রেসিডেন্ট ড্যাফোডিল অ্যালামনাইদের পূনর্মিলনী ২০১৯’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসে্বে উপস্থিত ছিলেন স্কারবোরো সাউথ ওয়েস্ট আসনের প্রোভিনশিয়াল সংসদ সদস্য ডলি বেগম। ড্যাফোডিল পরিবারের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামানসহ আরো অনেকে। ড্যাফোডিলের এই আয়োজনে কানাডায় বসবাসকারী ড্যাফোডিল পরিবারের শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহন করেন।
স্বপ্নীল ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে কানাডার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ড্যাফোডিল অ্যালামনাইরা এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পরস্পরের সাথে কুশল ও মতবিনিময়ের পাশাপাশি স্মৃতি রোমন্থন করেন। কানাডার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ড্যাফোডিল অ্যালামনাইদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি ড্যাফোডিলিয়ানদের মিলনমেলায় রূপ নেয়।
উল্লেখ্য ড্যাফোডিল পরিবারের প্রায় ৬০ হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা পর্যায়ে কর্মরত রয়েছে। ড্যাফোডিল থেকে পাস করা প্রায় পাঁচ শতাধিক বিদেশী শিক্ষার্থী দেশের বাইরে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে এবং তাদের নিজ নিজ দেশে বিচার বিভাগ, উপাচার্য, মন্ত্রী, প্রতিরক্ষা বিভাগসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত আছেন। ড্যাফোডিল থেকে পাস করা এলামনাইরা ‘নন-রেসিডেন্ট ড্যাফোডিল অ্যালামনাই’ এর ব্যানারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কানাডার সাউথ ওয়েস্ট আসনের প্রোভিনশিয়াল সংসদ সদস্য ডলি বেগম বলেন, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে টরেন্টোতে এ ধরনের আয়োজন একটি বৃহৎ উদ্যোগ। তিনি এই আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামীতে ড্যাফোডিলের এ ধরনের আয়োজনে তার অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
ড্যাফোডিল পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডা হচ্ছে অপার সম্ভাবনার দেশ। আমি বিশ্বাস করি ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ সর্বাগ্রে কাজে লাগাবে এবং এ সুযোগ সর্বাত্মক কাজে লাগানোর জন্য ড্যাফোডিল সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করব। এসময় তিনি টরেন্টোতে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি হেল্প ডেস্ক খোলার আশ্বাস দেন যাতে শিক্ষার্থীদের অভিবাসন প্রক্রিয়া দ্রুততর ও সহজতর হয়।
আয়োজন সম্পর্কে ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, কয়েক সহস্রাধিক ড্যাফোডিল অ্যালামনাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন এবং অনেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত আছেন। দেশভিত্তিক নন-রেসিডেন্ট ড্যাফোডিল অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক গঠন ও সেগুলোর সমন্বয়ে গ্লোবাল নেটওয়ার্ক স্থাপন করে বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সে লক্ষে এ আয়োজন।
পূরনো দিনের বন্ধ-বান্ধব, শিক্ষক, মেনটর, অভিভাবক, সহকর্মী ও প্রিয়জনদের সম্মিলনে অনুষ্ঠানস্থলে এক আবেগ ঘন পরিবেশ তৈরী হয় । প্রত্যেকে অতীতের স্মৃতি রোমন্থনের মাধ্যেমে শৈশবে ফিরে যায়। অনুষ্ঠানে সবচেয়ে চোখে পড়ার মত মজার দৃশ্য ছিল বাংলাদেশকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সবার ঐক্যবদ্ধ ও ইস্পাত কঠিন শপথ গ্রহণ পর্ব। অনুষ্ঠানের শুরুতে ড্যাফোডিল পরিবারের অ্যালবাম থেকে নেয়া ছবির প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠানটিকে আরো বেশী প্রাণবন্ত করে তোলে।
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে এবং ১৫ জুন নিউ ইয়র্কে এ ধরনের পূনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীব্যাপী ড্যাফোডিল অ্যালামনাইদের পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্ব আজ টরেন্টোতে অনুষ্ঠিত হল।