৮০ শিক্ষার্থী জাপানে পাড়ি জমিয়েছেন
- এস এম রাসেল
ড্যাফোডিল গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল-জাপান আইটি (ডিজেআইটি) থেকে গত সেশনে ৮০ জন কৃতী শিক্ষার্থী জাপান গেছেন উচ্চশিক্ষা নিতে। তারা জাপানের বিভিন্ন শহরে পড়াশোনা করতে গেছেন। এছাড়াও ডিজেআইটি’র শিক্ষার্থী ৪ জন টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম ( জব ভিসায়) জাপান গেছেন।
জাপানে পড়াশোনা ও খণ্ডকালীন চাকরির জন্য জাপানিজ ভাষা জানা আবশ্যক। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে জাপানিজ ভাষার প্রাথমিক ধাপটা শিখে জাপানে বাকিটা শিখতে হয়। ড্যাফোডিল-জাপান আইটিতে তিন থেকে চার মাস লাগে এই ভাষা শিখতে। এরপর জাপানে গিয়ে এক বছর তিন মাস থেকে দুই বছর লাগবে বাকিটা করতে। জাপানিজ ভাষা কোর্স শেষে ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে হয়। অবশ্য ছাত্রছাত্রীরা শুরু থেকেই অর্থাৎ ভাষা শেখা অবস্থায়ই খণ্ডকালীন চাকরি করতে পারবেন। খণ্ডকালীন চাকরি পেতে ছাত্রছাত্রীদের তেমন একটা বেগ পেতে হয় না।
কেন জাপান : জাপানের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানের। প্রায় সাড়ে ৭০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক কম খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। পড়াশোনার পাশাপাশি সাপ্তাহিক ২৮ ঘণ্টা খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ দিচ্ছে জাপান সরকার যা ইউরোপ বা আমেরিকার কোনো উন্নত দেশে নেই। তাছাড়া বার্ষিক অবকাশকালে খণ্ডকালীন চাকরির সময় নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। জাপানে ঘণ্টায় খণ্ডকালীন চাকরির বেতন সর্বনিম্ন ৮০০ জাপানিজ ইয়েন। কাজ ও ভাষার দক্ষতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বেতনও বাড়ে।
ভর্তির যোগ্যতা : এইচএসসি, ডিপ্লোমা, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বা সমমানের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি জাপানিজ ভাষায় দক্ষতার প্রয়োজন। শুরুতে জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ ইনস্টিটিউটগুলোতে ইন্টারভিউ দিতে হবে। ইন্টারভিউতে পাস করলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাপান ইমিগ্রেশনে জমা দিতে হবে। ইমিগ্রেশন থেকে ইলিজিবিলিটি লেটার ইস্যু করার পর এক বছরের টিউশন ফি জমা দিতে হবে। এরপর বাংলাদেশের জাপান এমবাসিতে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র জমা দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ড্যাফোডিল জাপান আইটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর তরু অকাজাকি জানান, লকডাউনের মধ্যেও তাদের কার্যক্রম চালু রেখেছিল ও অনলাইন ক্লাস চালু ছিল । করোনা পরস্থিতি মধ্যেও তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে জাপানিজ ভাষার কোর্স করে চলতি বছর অনেক বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী পাড়ি জমিয়েছেন জাপানে। তাদের প্রত্যেকেই জাপানে খুব দ্রুত খণ্ডকালীন চাকরি পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ম্যানেজার মাহাদি হাসান জানান, যেহেতু জাপানে যাওয়ার জন্য জাপানিজ ভাষা জানাটা আবশ্যক তাই তারা এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জাপানি ভাষা শেখাচ্ছেন। ড্যাফোডিল-জাপান আইটির অফিস পশ্চিম পান্থপথের ড্যাফোডিল কনকর্ড টাওয়ার , নিচ তলা । ফোন: ০১৮৪৭১৪০১১০,০১৮৪৭১৪০১০৫ ও ০১৭১৩৪৯৩২৭৮ ।