অফিসে গিয়েই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না

অফিসে গিয়েই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না

  • রবিউল কমল

অফিসে পৌঁছানোর পরে টানা তিন ঘণ্টা রাকিবের হুশ থাকে না। টেবিলে ফাইলের পাহাড়, মেইল বক্সের মেইল পড়া, মাঝে মাঝে বসের তলব। সব মিলিয়ে একেবারে নাজেহাল দশা হয় বেচারার। হাতে থাকা কাজগুলো সামলে উঠতে না উঠতে টেবিলে আসতে শুরু করে নতুন কাজ। সহকর্মীরা তাড়া দিতে শুরু করেন। কিছুতেই ও সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারে না। অনেক সময় অফিস শেষ করতে রাত হয়ে যায়। কিন্তু ও বুঝে উঠতে পারে না, ওর বেলা কেন এমন হয়। অন্য সবাই তো ঠিক সময়মতো কাজ শেষ করতে পারে।

আসলে রাকিবের ভুলটা কাজ সাজিয়ে নিতে। ও আসলে কাজগুলো ঠিকঠাক গুছিয়ে করতে পারে না। তাই আগে প্রয়োজন অনুযায়ী কাজগুলো সাজাতে হবে নিন। এ জন্য কি করবেন তা জেনে নিন।

কি করবেন :

অফিসে পৌঁছেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। প্রথমে কাজের তালিকা করুন। অর্থাৎ গুরুত্ব অনুযায়ী কাজগুলো সাজিয়ে নিন।

কাজটা করতে কেমন সময় লাগবে, তাও লিখে রাখুন। অযথা সময় নষ্ট হবে না।

প্রয়োজনীয় এবং জরুরি এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারাটা তালিকা সাজানোর প্রধান শর্ত। প্রয়োজনীয় কাজ অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু জরুরি কাজের গুরুত্ব বেশি।

একসঙ্গে অনেক কাজ না করে, অল্প সংখ্যাক কাজ ভালো করে করার লক্ষে স্থির থাকুন। কোয়ান্টিটির চেয়ে কোয়ালিটিকে সব সময় বেশি গুরুত্ব দিন। যেটুকু কাজ করবেন, সেটুকু যাতে নির্ভুল হয় সে ব্যাপারে যত্নবান হোন।

নিজের দায়িত্বে ব্যাপারে পরনির্ভরশীল হয়ে থাকবেন না। আপনার কাজের খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নিন। নিজের কাজ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখুন। অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটাকে গুরুত্বপূর্ণ কাজের তালিকায় যোগ করে নিন।

সব কাজ আপনার পক্ষে একা করা সম্ভব না। এ সরল সত্যকে মেনে। সীমিত সময়ে বেশি কাজ করতে গিয়ে শুধু কাজের কোয়ালিটি নষ্ট করা ঠিক হবে না। তাই কাজের চাপ বেশি হয়ে গেলে মাঝে মধ্যে ‘না’ বলতে শিখুন।

সূত্র: যুগান্তর

Sharing is caring!

Leave a Comment