সমন্বিত খামারে ঘুরেছে ভাগ্যের চাকা
- মেহেরাবুল হক রাফি
হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের বদৌলতে সমন্বিত খামার ব্যবস্থা এখন দেশের সবখানেই জনপ্রিয়। রাজবাড়ি জেলার প্রত্যন্ত কৈডাঙ্গা গ্রামও এর ব্যতিক্রম নয়। আলতাফ হোসেনের সমন্বিত খামার এ জনপদের অনেক বেকার যুবকের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এটি।
মূলত ২০ বছর আগে টিভিতে সমন্বিত খামার নিয়ে রিপোর্ট দেখে এ ব্যাপারে আগ্রহী হন আলতাফ। পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় নিজের পতিত দুই বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন হাঁস-মুরগি ও পুকুর সমৃদ্ধ খামার। জেলা শহর থেকে দূরে হওয়ায় নাগরিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলো কৈডাঙ্গার অধিবাসীরা। তবে এই খামারের ফলে পালটে গিয়েছে এলাকার চেহারা।
খামারে প্রবেশ করতেই প্রথমেই চোখ যায় এর বিশালাকৃতির পুকুরের দিকে। পুকুর না বলে ছোটখাটো বিল বললেও বেশি বলা হবে না। এর চারপাশে মাচা-সদৃশ স্থাপনার মতন করে বানানো হয়েছে হাঁস-মুরগির খামার। পুকুরের চারপাশে খালি জমিতে লাগানো হয়েছে হরেক রকমের ফলফলাদির গাছ।
আলতাফ হোসেনের উদ্যোগেই কৈডাঙ্গাতে এখন পল্লীবিদ্যুতের আনাগোনা বেড়েছে। এছাড়া আশেপাশের অনেক পরিবারের সদস্যরা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করছেন এই খামারে।
আলাপকালে আলতাফ হোসেন জানান খামার নিয়ে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তার এই খামার দিনেদিনে আরো মানুষের কর্মসংস্থান ও আমিষজ পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসারের মতে যথাযথ সরকারি সহযোগিতা পেলে এরকম খামারের মতন আরো অনেক খামার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের যোগান দিতে পারবে।
মেহেরাবুল হক রাফি
সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

 
	                
	                	
	             
	                       			                       	 
	                       			                       	 
	                       			                       	 
	                       			                       	