ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার নিয়ন্ত্রণে তেজপাতা
- আবু রিফাত জাহান
গত কয়েক দশক ধরে ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ দেশে ভয়ংকর রুপ ধারণ করেছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ। এছাড়া, বিশ্বে প্রতি ৭ সেকেন্ডে নতুন করে একজন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের এই রোগ সম্পর্কে অসচেতনতায় এবং নিয়ন্ত্রণহীন জীবনযাপনে দিনকে দিন অন্যান্য রোগের চিকিৎসা গ্রহণেও বিরুপ প্রভাব পড়ছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকায় হাসপাতালগুলোতে অধিকাংশ রোগীর চিকিৎসা প্রদানেও হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। কিন্তু সামান্য তেজপাতার গুণাগুণ ও ব্যবহার জানলেই খুব সহজে ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
আমাদের দেশে তেজপাতা একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন মসলা উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর জুড়ি মেলা ভার এ কথা গবেষকরাও স্বীকার করে নেন বিনা দ্বিধায়। তেজপাতায় রয়েছে ভিটামিন ‘ই’ ও ‘সি’, ফলিক এসিড এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও চীনে এর উৎপাদন সবচেয়ে বেশি।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর তেজপাতা নিয়ে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১-২ গ্রাম তেজপাতা খেলে হৃদরোগসহ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের বিপাকক্রিয়া উন্নত করে এর পুষ্টিগুণ, ফলে শরীর হয় চাঙ্গা আর কাজ কর্মে আসে প্রফুল্লতা। তাই বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের গরম পানিতে তেজপাতা ফুটিয়ে পানি ঠাণ্ডা করে প্রতিদিন এক গ্লাস করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তেজপাতা রয়েছে এমন এক ওষুধি উপাদান যা আমাদের শরীরে উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। এ ছাড়া ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে ও কাটাছেঁড়া ও ঘা সারাতেও খুবই কার্যকর। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং এর ধোঁয়ার গন্ধে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আসে। তাছাড়া হজমশক্তি বাড়াতেও তেজপাতার বিকল্প নাই।