ফিরে দেখা ২০১৫, পর্ব-২ : সংস্কৃতিতে সরব ছিল রাবি
আতিকুর রহমান, রাজশাহী : গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সংস্কৃতি মুখর। এর মধ্যে দুই বাংলার নাট্যোৎসব, চলচ্চিত্র উৎসব ও ত্রিদেশীয় নাট্যোৎসব ছিল চোখে পড়ার মতো। ২৮ অক্টোবর ‘মিলি মৈত্রী বন্ধনে গড়ি সংস্কৃতির সেতু’ স্লোগানে শুরু হয় আট দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব। এ উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। নাট্যোৎসবে মোট ১০টি দল অংশগ্রহন করে। দলগুলো হলো- সুরন্দম কলকতা(ভারত), নাট্যভ‚মি ত্রিপুরা (ভারত), কালিন্দী ব্রাত্যজন (কলকতা, ভারত), প্রাঙ্গণেমোর (ঢাকা), দৃশ্যপট (ঢাকা), নাট্যকলা বিভাগ (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
এরপর ১৭ নভেম্বর ‘ফ্রেমে প্রেমে, দুই বাংলা’ শিরোনামে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আয়োজনে ভারতীয় হাই কমিশনের সহায়তায় শুরু হয় দুই বংলার চলচ্চিত্র উৎসব। সাতদিনব্যাপী এ উৎসবে দুই বাংলার বেশ কিছু প্রামাণ্য, পূর্ণদৈঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এরপর ৫ ডিসেম্বর শুরু হয় ত্রিদেশীয় নাট্যোৎসব। উৎসবে ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালের কয়েকটি দল অংশগ্রহণ করে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকগণ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ও গবেষকগণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে পারবেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বিনিময় প্রোগ্রামের আয়োজন করবে। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকগণ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশীপ এবং স্যাবাটিক্যাল গবেষণাও করতে পারবেন।
এছাড়া ৮ জুন পারস্পরিক শিক্ষা বিনিময় সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন এবং দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার উপাচার্য অধ্যাপক ড. তালাত আহমদ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির আওতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকগণ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ও গবেষকগণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে পারবেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বিনিময় প্রোগ্রামের আয়োজন করবে। প্রয়োজনে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ যৌথভাবে গবেষণা করতে পারবেন এবং সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ, শিক্ষা-ভ্রমণ, প্রকাশনাসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করতে পারবেন। এ চুক্তির আওতায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকগণ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশীপ এবং স্যাবাটিক্যাল গবেষণাও করতে পারবেন।