শুভ জন্মদিন মোহিত কামাল
রবিউল কমল : পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও বাংলা সাহিত্যের পাঠকপ্রিয় লেখক মোহিত কামাল। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি লেখালেখিতে দারুণ সফল তিনি। খুব অল্প সময়েই তিনি পাঠকের মনের ভিতরে প্রবেশ করতে পেরেছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে এক জনপ্রিয় নাম মোহিত কামাল। চিকিৎসা সেবা এবং লেখালেখির পাশাপাশি তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন সংগঠনের সাথে। মাদক বিরোধী কর্মী হিসেবে তার যথেষ্ট সুখ্যাতি আছে। আজ তার জন্মদিন। জন্মদিনে এই পাঠকপ্রিয় লেখককে প্রমিনেন্টের পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা।
১৯৬০ সালের ২ জানুয়ারি চট্রগ্রামের সন্দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন মোহিত কামাল। তাঁর বাবার নাম আসাদুল হক এবং মায়ের নাম মাসুদা খাতুন। শৈশব-কৈশোরের কিছুটা সময় তিনি চট্রগ্রামের আগ্রাবাদে কাটান আবার কিছুটা সময় তিনি খুলনার খালিশপুরে কাটান। তিনি বিয়ে করেছেন মাহফুজা আখতার মিলিকে। পারিবারিক জীবনে তাদের দুই ছেলে রয়েছে- মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এবং জিদনি ময়ূখ স্বচ্ছ।
লেখালেখির একাধিক ক্ষেত্রে তিনি তার দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কলাম, কিশোরদের উপযোগী গল্প-উপন্যাস এবং বিজ্ঞান ও গবেষণা নিয়ে তিনি নিয়মিত লেখেন। তার এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩৭টি।
পেশাগত জীবনে তিনি জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে সাইকোথেরাপি বিভাগের একজন অধ্যাপক। এছাড়াও মনোচিকিৎসক, মনোশিক্ষাবিদ এবং সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবেও তিনি সমাধিক পরিচিত। এছাড়া তিনি সংগঠক হিসেবেও দারুণ সফল। তিনি ‘শব্দঘর’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন। পাশাপাশি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্ত আছেন এশিয়ান ফোমাম ফর মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সাইকিয়াট্রিস্ট্রে (এসএএফ-বিসি)। তিনি বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য, প্রথম আলোর মাদকবিরোধী আন্দোলনে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং উপদেষ্টা মাসিক সাহিত্য সংকলন সৌরভের।
এ পর্যন্ত মোহিত কামাল কামাল বেশ কিছু পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। এরমধ্যে উল্লেখেযোগ্য হচ্ছে- এম নুরুল কদের ফাউন্ডেশন শিশুসাহিত্য পুরষ্কার ২০১২; ময়মনসিংহ সংস্কৃতি পুরষ্কার ১৪১৬; এ-ওয়ান টেলিমিডিয়া স্বাধীনতা অ্যাওয়ার্ড-২০০৮; বেগম রোকেয়া সম্মাননা পদক ২০০৮; স্বাধীনতা সংসদ নববর্ষ পুরষ্কার ১৪১৫।
এছাড়া তিনি ওয়ার্ক সাই কিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন কর্ক আয়োজিত জাপানে ১২-তম ওয়ার্ক সাইক্রিয়াটির ফেলোশিপ প্রোগ্রামে বিশ্বের প্রথম সেরা ফেলো হিসেবে কৃতীত্ব অর্জন করেছেন। তার ‘মানব মনের উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা’ বইটি ২০১২ সালে কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যায়ের ‘সাইকোলজি, কাউন্সেলিং অ্যান্ড গাইডিং’ বিষয়ক পাঠ্যসূচীর অন্তভুক্ত করা হয়েছে।