মালয়েশিয়ায় ব্যবসা ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের আস্থার প্রতীক মালয়েশিয়া। ২০২০ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের সদস্য হওয়ার লক্ষ্যে মালয়েশিয়া সরকার ব্যবসার বাজার অনেকটাই উন্মুক্ত রেখেছে। বিনিয়োগ ও স্থায়ী বসবাসের জন্য ভালো অবস্থানে আছে দেশটি।
বিশ্বের যেকোনো দেশের নাগরিক মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগ ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ নিতে পারে। দেশটিতে স্বল্প পুঁজিতে অনেক ধরনের আধুনিক ও রুচিসম্মত ব্যবসা করা যায়।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন চেইন শপের শাখা, ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, কলেজ, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, সেলুন, কারওয়াশ, রেন্ট-এ কার, পুরোনো গাড়ি কেনাবেচা, সাইবার ক্যাফে, মোবাইল লোড-ফটোকপি, দরজি, ফলের দোকান, প্রিন্টিং ব্যবসা করে মালয়েশিয়ায় পর্যাপ্ত আয়ের সুযোগ আছে।
আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, মালয়েশিয়ায় কিছুটা বড় পরিসরে জমি লিজ নিয়ে কৃষি খামার, মৎস্য চাষের মতো ব্যবসাও করা যায়। আবার প্রয়োজনীয় লাইসেন্স করে কনস্ট্রাকশন ও রিনোভেসন ব্যবসাও করা যায়। এর বাইরে আছে স্বল্প পুঁজির হোম স্টে ব্যবসা। এ ছাড়া ইম্পোর্ট-এক্সপোর্ট, সফটওয়ার বা আইটি রিলেটেড ব্যবসা করারও সুযোগ আছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বাজেট হোটেল, বুটিক হাউজ, আইসক্রিম বা কফি শপ, বিউটি শপ বা স্পা সেন্টার, ফুলের দোকানের অনেক চাহিদা আছে মালয়েশিয়ায়। ফিজিওথেরাপি সেন্টার দিয়েও মানবিক সেবা ও ব্যবসা করার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে দেশটিতে।
কেকে, সেভেনইলেভেন, বারজায়া গ্রুপ, হান্ড্রেড প্লাস ও মাইনিউজ ডটকমের মতো মালয়েশীয় চেইন শপের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত ম্যাকডোনাল্ডস ও কেএফসির ফ্র্যাঞ্চাইজি বা শাখা দেখা যায় মালয়েশিয়ায়। প্রতিটি ব্র্যান্ডেরই সারা দেশে কয়েক হাজার করে শাখা আছে। রেমলি নামের ছোট আকৃতির এক ধরনের দোকান মালয়েশিয়ায় ভালো ব্যবসা করছে। গোটা মালয়েশিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির দুই হাজারের বেশি শাখা আছে। প্রতিষ্ঠানটি আরো শাখা দিচ্ছে। এ ছাড়া নতুন আরো শতাধিক প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি মালয়েশিয়াজুড়ে শাখা দেওয়া শুরু করেছে, যা যোগাযোগ করে যে কেউ নিতে পারেন।
ফেরতযোগ্য জামানত হিসেবে দুই হাজার রিঙ্গিত (এক রিঙ্গিতে ২০ টাকা) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেখে তিন হাজার রিঙ্গিতে কোম্পানি খুলে মালয়েশিয়ায় চেইন শপের শাখা নেওয়া যায়। পরে দোকান ভাড়া নিতে হয়। মালয়েশিয়াতে দোকান ভাড়া নিতে বাংলাদেশের মতো ১৫-২০ লাখ টাকা জামানত রাখতে হয় না। তুলনামূলক কম ভাড়ায় দোকান পাওয়া যায়। কুয়ালালামপুরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র চেরাসে ১৬০০ বর্গফুটের একটি দোকান ১৮০০ রিঙ্গিতে ভাড়া পাওয়া যায়। চলতি ও কয়েক মাসের ভাড়া দিয়েই মালয়েশিয়ায় দোকান নেওয়া সম্ভব। আর অনেক দোকান সাজানোই থাকে। এছাড়া লাখ লাখ টাকার পণ্য পাওয়া যায় টাকা ছাড়াই। বিক্রি করে মূল্য পরিশোধ করতে হয়।
ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা করলে পাঁচ বছর পরে নাগরিকত্ব (পিআর) পাওয়া যায়। দুই বছর পর পর ভিসা নবায়ন করেও দেশটিতে দীর্ঘদিন বসবাস করা যায়। আর পাঁচ বছর পর স্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন। ব্যবসায়ী ভিসা নিলে মালয়েশিয়া থেকে পৃথিবীর ৭৩টি দেশে মাত্র ৩ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব।
মালয়েশিয়াতে দুইভাবে কোম্পানি খুলে ব্যবসা করা যায়। মালয়েশিয়ায় অফেশোর কম্পানির মাধ্যমে শতভাগ বিদেশি শেয়ার নিয়ে ব্যবসা। আরেকটি পথ হলো এসডিএন বা বিএইচডি কোম্পানির মাধ্যমে এমপ্লয়মেন্ট পাস নিয়ে সপরিবারে মালয়েশিয়া বসবাস ও ব্যবসা।
গত কয়েক বছর ধরেই মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু। কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স, অ্যাকাউন্ট ওপেনিংসহ সব ধরনের বৈধ ব্যবসা স্থাপনের আইনগত সহযোগিতা করে আসছেন তিনি।
ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কাগজপত্র তৈরি হয়ে গেলে কনসালটেন্সি ফার্মের মাধ্যমে প্রার্থীকে ডেকে নেয় মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিস। এরপর মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে ভিসা নিতে হয় প্রার্থীকে। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিস অতি দ্রুত ভিসা হাতে দিয়ে দেয় বলে দাবি করেন শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ ও ব্যবসার সম্ভাবনা সম্পর্কে ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে এবং সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাগজপত্র দাখিল করলে কোনো প্রার্থীর আবেদনের ফাইল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
মালয়েশিয়ায় নাগরিকত্ব পেতে এবং বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা পেতে কী কী করতে হবে সে বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করতে পারেন advahmed@outlook.com , raju.advocate2014@gmail.com এবং mausumimau2015@gmail.com এই মেইল ঠিকানায়। ভিজিট করতে পারেন www.wwbmc.com. ওয়েবসাইট। এ ছাড়া সরাসরি ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন +৬০১৬৮১২৩১৫৪ ও +৬০১৪৩৩০০৬৩৯ নম্বরে।
ঢাকার উত্তরায় ৭ নং সেক্টরের খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও খোঁজ নিতে পারেন। ফোনে কথা বলতে পারেন ০১৯৬৬০৪১৫৫৫, ০১৯৬৬০৪১৮৮৮ ও ০১৯৭৭০১৪৭৭৮ নম্বরে।
সূত্র: এনটিভিবিডি