বইমেলায় শিশু প্রহর
- তানভীর আহমেদ এবং রায়হান হাসান
বইমেলায় সিসিমপুরের আয়োজনে শিশুচত্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শিশুদের জন্য আনন্দ আড্ডা। টেলিভিশনের পর্দায় ও শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠানের নাম সিসিমপুর। সুযোগ পেলেই টুকটুকি, ইকরি এবং হালুমদের দেখতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে তারা। আজ সরাসরি দেখে আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশিই তাদের। শিশুরাই হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুদের ডাকে। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে শিশুচত্বরে একে একে হাজির হয় তারা। এসেই স্বভাবসুলভ আচরণ। টেলিভিশনের পর্দায় দেয়া সংলাপগুলোর পুনরাবৃত্তি। আমার নাম টুকটুকি, বই পড়তে ভালোবাসি। আমার মাথায় বড় চুল, তাই আমি বেনী করি। এসব বলে শিশুচত্বরের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের সঙ্গে হাত মেলায় টুকটুকি।
অভিভাবকরা তাদের সন্তানদেরকে ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছেন মেলার বিভিন্ন স্টল। এতে করে শিশুদের কাছে বইমেলার গুরুত্ব বাড়ছে। আর প্রতিবারের মতো বইমেলার শিশুকর্নারে রয়েছে তাদের প্রিয় সিসিমপুর শো। প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ও বিকেল সাড়ে ৩টায় ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
শিশু চত্বরে হালুম বলে, মাছভাজা, খেতে কী মজা। তাই তো আমি বেশি বেশি মাছ খাই। আর ইকরির কথা: আমি ইকরি, প্রশ্ন করতে ভালোবাসি। কারণ প্রশ্ন করলে সব কিছু জানা যায়।
রাজধানী শ্যামলী থেকে বাবা মায়ের সাথে আসা দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রাইসা জানায়, বইমেলায় এসে তার খুব ভালো লাগছে। আর হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুদের সাথে দেখা করতে পেরে সে অনেক আনন্দিত।
এইভাবেই শিশু কিশোরদের কোলাহলের মধ্য দিয়ে চলছে একুশে বইমেলার শিশু প্রহর।
শিশুচত্ত্বরের পাশাপাশি সিসিমপুরের ষ্টলের সামনে রয়েছে বিভিন্ন শ্লোগানসম্বলিত প্লেকার্ড। প্লেকার্ডগুলোতে লেখা রয়েছে ‘পড়া খেলা নতুন সুর, যাই চলো যাই সিসিমপুর’, ‘বই পড়ো যতো পারো’ ইত্যাদি।
আয়োজকরা বলেন, তারা শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য বাংলা একাডেমির সঙ্গে কথা বলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।