রসিদ ছাড়াই বই বিক্রয়
- আল-মোমিন খান ও ফুয়াদ শেখ
কোন কিছু ক্রয়ের প্রমাণ হচ্ছে রসিদ । কিন্তু বই মেলায় রসিদ ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে অসংখ্য বই। ক্রেতারা রসিদ চাইলেও পাচ্ছে না বই ক্রয়ের রসিদ।
পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা । বই মেলা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন স্টল থেকে ক্রেতরা তাদের পছন্দের বই কেনার পর বইয়ের রসিদ চাইলে কিছু স্টল দিচ্ছে না বইয়ের রসিদ। গতকাল ‘চারুলিপি প্রকাশন’ থেকে মো. শাওন ইসলাম “সারেং বউ” এবং “হে জীবন ফিরে এসো” বই দুটি কিনে তার রসিদ চাইলে বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা তো পালিয়ে যাচ্ছি না, তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে আমাদের প্রকাশনীর দোকান রয়েছে, আপনি চাইলে সেখানে যেতে পারেন।’ তিনি আরো বলেন ‘আমরা কোনো প্রকার নকল বা জাল বই বিক্রয় করছি না যে রসিদ দিতে হবে’।
অন্য দিকে ‘জনান্তিক’ নামে একটি স্টল থেকে “মুখচ্ছবি” নামের বই কিনে রসিদ চাইলে তারাও রসিদ দেননি। এ সম্পর্কে পাঠক শাওন ইসলাম বলেন, ‘বই কেনার পর রসিদ পাওয়া আমার অধিকার এবং এটি আমার ক্রয়ের দলিল, কিন্তু তাদের অনেক বলেও আমরা রশিদ পাচ্ছি না। এইটা আসলেই দুঃখজনক।’ অপর দিকে অনেক প্রকাশনী বই বিক্রয়ের পর রসিদ দিচ্ছে।
এ সম্পর্কে বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্রে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, এখন পর্যন্ত এ সম্পর্কে তাদের কাছে প্রতিদিনই কিছু কিছু অভিযোগ আসছে এবং তারা এর বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিলেও ঘোষনার মাধ্যমে ক্রেতাদের সতর্ক করছে যাতে বই কেনার পর তারা রসিদ নেয়। কিন্তু মেলার শেষ পর্যায়েও অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানই রশিদ দিচ্ছে না এবং কর্তৃপক্ষ সতর্ককরণ ছাড়া তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।