সৈয়দ হক স্মরণে ড্যাফোডিলে আলোচনা সভা
- শিল্প সাহিত্য ডেস্ক
গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস পালন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ড্যাফোডিল সাহিত্য সংঘ’। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ‘শ্রদ্ধা ও স্মরণে সৈয়দ শামসুল হক’ শিরোনামে সৈয়দ শামসুল হকের জীবনী আলোচনা ও কবিতা পাঠের আয়োজন করে সংগঠনটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ শামসুল হকের পুত্র লেখক ও অনুবাদক দ্বিতীয় সৈয়দ হক। ড্যাফোডিল সাহিত্য সংঘের আহ্বায়ক ও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহবুব পারভেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল সাহিত্য সংঘের উপদেষ্টা ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভুঁইয়া, স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিনয় বর্মন, সাহিত্য সংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হাবিবুল্লাহ পাপ্পু এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান রোকন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড্যাফোডিল সাহিত্য সংঘের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহির এবং সৈয়দা নওরীন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি দুহাতে অবিরাম লিখে গেছেন। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, নাটক, গান থেকে শুরু করে সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তিনি অবাধে বিচরণ করেছেন এবং সোনা ফলিয়েছেন। তাঁর প্রতিভার স্পর্শে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যে তিনি অমরত্ব লাভ করবেন বলে মন্তব্য করেন সৈয়দ আবুল মকসুদ।
পিতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে দ্বিতীয় সৈয়দ হক বলেন, বাবা ছিলেন পরিশ্রমী লেখক। নিয়ম করে প্রতিদিন লিখতেন। জীবনে যা কিছুই ঘটুক না কেন, কখনো লেখা থামাননি। এমনকি মৃত্যুর একদিন আগেও তিনি লিখেছেন। লেখালেখিই সৈয়দ শামসুল হকের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান ছিল বলে জানান দ্বিতীয় সৈয়দ হক। এসময় তিনি ড্যাফোডিল সাহিত্য সংঘকে ধন্যবাদ জানান তাঁর বাবার জীবন ও সাহিত্য কর্মকে স্মরণ করার জন্য।
আলোচনা শেষে সৈয়দ শামসুল হকের গান ও কবিতা পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠান।