ছুটির দিনে প্রাণ ফিরে পেল গ্রন্থমেলা
নিজস্ব প্রতিবেদন : দিনের শুরু শিশুদের হৈ-হুল্লোড়ে। মেলার পঞ্চম দিন ছিল শিশু প্রহর। শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলা শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
কমলমতি শিশুদের উচ্ছ্বাসে মুখোরিত হয়ে ওঠে বাংলা একাডেমি চত্ত্বর। শুক্রবার। দুপুর গড়িয়ে বিকালের আঙ্গিনায় বইমেলা। শিশু প্রহর কেটে গেছে। তবে কাটেনি প্রাণের উচ্ছ্বাস। ছুটির দিনে দুপুরের পর থেকেই জমে উঠেছে প্রাণের বইমেলা। লাখো দর্শনার্থী আর পাঠকের পদচারণায় যেন তিল ধরার ঠাঁই নেই মেলা প্রাঙ্গনে। মেলায় প্রবেশের দীর্ঘ লাইন। সময় গড়িয়ে লাইনের দীর্ঘতা আরও বাড়ছে। তবুও যেন ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে না কারো। লাইনে দাঁড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করছেন দর্শনার্থীরা।
এ উল্লাস যেন প্রাণে প্রাণ মেলানোর। যেন নতুন বইয়ের গন্ধ শোকার। শুরু হওয়ার গত চারদিনে তেমন জমে উঠছিল না বইমেলা। তবে শুক্রবার ছুটির দিনে সে চিত্র একেবারেই পাল্টে গেছে। বন্ধু বন্ধুর, স্বজন স্বজনের হাতে হাত রেখে ঘুরছে মেলার প্রতিটি স্টল। অন্যদিকে, সকালে আসা শিশু দর্শনার্থীরাও যেন ঘরে ফিরতে চাইছে না। শিশুরা অভিভাবকদের হাতে ভর করে চরে বেড়াচ্ছে মেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। গত চারদিনের তুলনায় শুক্রবার বই বেচাকেনাও হচ্ছে বেশ। শিশু কর্নারে স্টল দিয়েছেন প্রগতি প্রকাশনীর আসরার মাসুদ। তিনি বলেন, চারদিন পর আজ মেলায় প্রাণ এসেছে। মেলা আজ সত্যিকার অর্থে জমে উঠেছে। শিশু প্রহর আর ছুটির দিন থাকায় মেলায় দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভীড়।
রাজধানীর রায়েরবাজার থেকে বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন আরেফিন হক আলভী। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, কলেজ বন্ধ থাকায় আজ এসেছি। অন্য বছরও তাই আসি। অনেক মানুষকে দেখতে পাওয়া তো আনন্দেরও বটে। আলভীর বান্ধবী রতিকা বলেন, আজ বই কিনতে আসিনি। মেলার শেষের দিকে কিনব। মেলা ঘুরতে এসেছি। তবে মনে ধরলে দুই একটি বই কিনতেও পারি।