সেরা বই প্রিয় বই

সেরা বই প্রিয় বই

  • মোজাফফর হোসেন

ডেথ অব ইভান ইলিচরাশিয়ান এবংমেটামরফোসিসজার্মান ভাষায় রচিত এবং রচনাকালের মধ্যবর্তী ব্যবধান প্রায় তিন দশক হওয়া স্বত্বেও এদের মধ্যে বেশ কিছু অন্তমিল আছে। দুটিরই গল্প শুরু হয় এক ধরনের বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে।ডেথ অব ইভান ইলিচশুরু হয় এই বড়গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ইভান ইলিচের মৃত্যু আরমেটামরফোসিসশুরু হয় এর কেন্দ্রীয় চরিত্র গ্রেগর সামসার দৈহিক পরিবর্তন অর্থাৎ মানুষ থেকে পোকা হওয়ার মধ্য দিয়ে। ইভান ইলিচের মৃত্যু গ্রেগর সামসার পোকা হয়ে যাওয়ার কথা লেখকদ্বয় খুব সহজেই বলে ফেলেন একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গ্রেগর সামসার পোকা হয়ে যাওয়া এবং এই পরিবর্তনকে গ্রেগরের খুব সহজভাবে গ্রহণ করাআধুনিক সাহিত্যের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এই বাক্যটি (“As Gregor Samsa awoke one morning from uneasy dreams he found himself transformed in his bed into a gigantic insect.”) আমাদের কাছে খুব সরল বিশ্বাসযোগ্য করে তোলেন লেখক। [এই বাক্যটি পড়েই নাকি মার্কেস চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন] একইভাবে শীতল কণ্ঠে তলস্তয় বলেন, “Gentlemen,…Ivan Ilych has died!” এই দুই বড়গল্পের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক এটিই।

index2ফ্ল্যাশব্যাকে তলস্তয় আমাদের ইভান ইলিচের অতীত জীবনে নিয়ে যান। এখানে তিনি একটা কথা দিয়েই ইভান ইলিচএর জীবন সম্পর্কে তাঁর স্ট্যাডি অনেকখানি পরিষ্কার করে তোলেন: […]most simple and most ordinary and therefore most terrible. ইভান ইলিচ তার সমস্ত জীবনব্যাপী প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার ধ্যানেজ্ঞানে সুখী হতে চেয়েছিল। সে তার বাবার তৃতীয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়জনপ্রথমজনের মত অত ভদ্রশান্ত নয় আবার ছোটজনের মত অত অভদ্রঅশান্ত নয়। তের বছর বয়সে সে আইনের স্কুলে ভর্তি হয়, একজন আদর্শ ছাত্র হিসাবে সেখানকার নিয়মকানুন মেনে চলে। সমাজের আরোপিত কোন নিয়মের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেনি। সে পোশাক পরেছে, খাবার খেয়েছে, সবই প্রচলিত নিয়মে। বিয়ে করেছে প্রচলিত বিশ্বাসে। তার সন্তান হয়েছে, সংসার হয়েছে কারণ সমাজে একজন সুখী মানুষের এসব থাকে। আরো যা থাকে তা হলো সুন্দর একটা বাড়ি। ইভান টাকা জমিয়ে খুব সুন্দর একটা বাড়ি করার পেছনে যথেষ্ট শ্রম দিয়েছে। বিবাহের কিছু বছর পর ইভান ইলিচ বুঝতে পারে, বিবাহ সস্পর্কে তথাকথিত যে ধারণা -“conducive to the pleasures and amenities of life,” তা সবসময় ঘটে না। দাম্পত্য অশান্তির কারণে সে আরো বেশি কাজের মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত করে। সমাজস্বীকৃত জীবনযাপন করার জন্য স্ত্রীর সাথে একটা ঠাণ্ডা সম্পর্ক বজায় রাখে। এমনিভাবে তলস্তয় ইভান ইলিচকে খুব সাধারণভাবে একটি সমাজের মেজরিটির প্রতিনিধি হিসাবে গড়ে তুলেছেন। ইভান হয়ে উঠেছে একটি সমাজের ‘Everyman’

ইভান তৎকালীন রাশিয়ার পুঁজিবাদী সমাজের মস্ত হাতিয়ার। সমাজের উঁচুশ্রেণী থেকে নির্ধারিত জীবনকে সত্য বলে মেনে চলেছে সারাটা জীবন। তলস্তয় এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সাথে উঁচুশ্রেণীর সম্পর্ককে মেটাফোর হিসাবে দেখিয়েছেন -‘that of a fly being drawn to a bright light’ একটি মাছি যেমন আলোর মায়াতে তার কাছে ছুটে যায় এবং সেখানে পৌঁছানোমাত্র মারা পড়ে। তেমনি ইভান ইলিচ জীবন ভেবে যে জীবনের পেছনে ছুটে চলে সেই জীবনই তাকে জীবিত থেকেও মৃতের স্বাদ এনে দেয়।

index4ইভানের মতন গ্রেগরও মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। সেলসম্যানের চকুরি করে সে। যদিও চাকুরিটা তার মোটেও ভালোলাগে না, তথাপি পরিবারের কথা ভেবে ছাড়তেও পারে না। প্রতিনিয়ত নিজের মনের সাথে আপোষ করে বেঁচে থাকতে হয় গ্রেগরকে। আপোষ করতে হয় অফিসের বস, পরিবার এবং সমাজের সাথেও। আপোষ করতে করতে একসময় গ্রেগর হারিয়ে ফেলে তার মানব সত্তাকে। তার দৈহিক পরিবর্তনটা তারই প্রতীকী পরিবর্তন।
আপাত দৃষ্টিতেডেথ অব ইভান ইলিচহচ্ছে ইভান ইলিচ মেটামরফোসিসহচ্ছে গ্রেগর সামসা নামের খুব সাধারণ দুজন মানুষের গল্প। কিন্তু গল্প দুটি আধুনিক পুঁজিকেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থার মেটাফোরিক উপস্থাপন। ইভান আর গ্রেগর হচ্ছে এখানে শ্রমিক শ্রেণী বা proletariat আর অফিসের বসরা হচ্ছে বুর্জোয়া শ্রেণীর প্রতিনিধি। পুঁজিকেন্দ্রিক সমাজে একটা মানুষের পরিচয় সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয় তার উৎপাদন ক্ষমতার ভিত্তিতে। তাই কাজ করতে করতে তারা ভুলে যায় তাদের মানবিক অস্তিত্বের কথা। তৎকালীন পুঁজিবাদী সমাজের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাস নীতিকে চরম সত্য জেনে পরম মমতায় লালন করেছে ইভান ইলিচ গ্রেগর সামসা। নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করে সমাজের প্রচলিত বিশ্বাসে সমাজের চোখে সুখী হতে চেয়েছে তারা। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার পর তারা মানব সমাজে তাদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নিজ নিজ সত্তার কাছে। মানব সমাজ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে আবিষ্কার করেছে সমাজকে।

ইভান ইলিচের মৃত্যু সংবাদ শুনে তার সহকারি বন্ধুদের মাথায় প্রথমেই যে চিন্তাটি আসে তা হলইভান ইলিচের মৃত্যুর ফলে সৃষ্ট খালি পদে কাকে নিযুক্ত করা যায়। বন্ধু হারানোর শোক নয় পদোন্নতি তাদের আলোচনার প্রাথমিক বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অন্য যে বিষয়টি তাদের মধ্যে স্বস্তি এনে দেয়, তা হল– “it is he who is dead and not I.” ইভান ইলিচের বন্ধুরা তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যায়, যেতে হয় জন্য। এটা তাদের কাছে শুধুই একটা ‘ritual’. ইভান ইলিচের স্ত্রী প্রাসকোভইয়া ফেদেরোভনা ইভান ইলিচের মৃতদেহ একঘরে রেখে অন্যঘরে ইভান ইলিচের সবচেয়ে কাছের বন্ধু পিটার ইভানোভিচের সাথে আলোচনা করে কী করে ইভান ইলিচের পেনসনের টাকার পরিমাণটা বাড়ানো যায় এবং কোন কবর স্থানের জমিনের দাম অপেক্ষাকৃত কম এই বিষয় নিয়ে।
images3ফ্ল্যাশব্যাকে দেখা যায়, ইভান যখন অসুস্থ ছিল তখন স্ত্রী, কন্যা রুটিন করে তার রুমে প্রবেশ করতো। ইভান ইলিচের বেঁচে থাকা তাদের জন্য যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইভান ইলিচের আত্মজিজ্ঞাসার জায়গাটা কেউই অনুভব করতে পারে না। এমনটি ডাক্তারও ইভান ইলিচকে যন্ত্রের মত দেখে চলে যায়। ইভান ইলিচ বুঝতে পারে, তাকে কেউই বুঝতে পারছে না বা বুঝতে চাচ্ছে না। সবার কাছে ইভান ইলিচের অসুস্থতা এবং সুস্থ থাকা সমান ভাবে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। পরিবারের সবার ধারণা, এই রোগের জন্য ইভান নিজেই দায়ী এবং নিয়মিত ঔষধ সেবনে সেরে উঠবে সে। ফলে ইভান ইলিচের শারীরিক সমস্যার থেকেও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে তার মানসিক সমস্যা। তার স্ত্রী কন্যা তাকে অসুস্থ রেখে সাজসজ্জা করে থিয়েটারে যায়। ইভান ইলিচের তখন মনে হয়, এই পৃথিবীটা হচ্ছে একটা থিয়েটার। এখানে চারপাশের সবাই অভিনয় করে চলেছে এবং তাদের জগতটা হচ্ছে, -‘mesh of falsity’ এবং আমরা পরবর্তীতে দেখতে পাই এই এই তথাকথিত প্রগ্রেসিভ সভ্যতার মিথ্যা কৃত্রিমতা ইভান ইলিচের মৃত্যুর জন্য দায়ী। মানব জীবনের প্রকৃত সত্যটা অনুভব করতে থাকে ইভান ইলিচ। সে একসময় উপলব্ধি করে, ‘illness is not a question of health or sickness, but of life or death.’

অন্যদিকে, গ্রেগর সামসার পোকা হয়ে গেলে তার চারপাশের স্বার্থপর মানুষগুলোর চেহারা পরিষ্কার হয়ে ধরা দেয়। মাবাবাবোন এই নিয়ে গ্রেগরের পরিবার। পোকা হওয়ার আগ পর্যন্ত আর পাঁচটা সুখী পরিবারের মতোই ছিল সব। আর গ্রেগরের দৈহিক পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটলো পরিবারের অন্যদের আচরণের। বাবা আপেল ছুড়ে গ্রেগরকে ঘরের ভেতর থাকার ইঙ্গিত দেয়, মা গ্রেগরকে দেখলে ভয়ে মূর্ছা যায়, বোন প্রথম দিকে গ্রেগরের খাবার দাবারের দিকে খেয়াল রাখলেও পরে আর রাখে না। আপাত দৃষ্টিতে গ্রেগর পোকা হয়ে যায় বটে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সে মনুষ্যগুনাবলী হারায় না বরং আশেপাশের মানুষরাই আপাত দৃষ্টিতে ঠিক থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তারাই মানুষ্যগুণাবলী হারিয়ে পোকা হয়ে যায়। গ্রেগর যখন পশুর মত খাটুনি খেটে সংসার চালাতো, বাবার ঋণের টাকা পরিশোধ করতো তখন পরিবারের আর সবাই আয়েশ করে দিনযাপন করতো। আর গ্রেগর যেই মাত্র কাজ হারালো তখন তাকে ছুড়ে ফেলা হল আবদ্ধ কক্ষে। পরিবারের সকলের কাছে গ্রেগরের মৃত্যু হয়ে উঠলো একমাত্র কাম্য। আস্তে আস্তে গ্রেগরের রুম থেকে আসবাবপত্র বের করে নেওয়া হল। বানানো হল স্টোর রুম।

gerasimআফিমের ঘোরে যখন ইভানের শারীরিক যন্ত্রণা কিছু সময়ের জন্য থমকে দাঁড়ায় তখন ইভান স্বপ্ন দেখে, তাকে একটি গভীর কালো বস্তার ভেতর ঠেলে ঢুকানো হচ্ছে। সে অন্ধকারে পতিত হবার কামনা যেমন করে তেমন ভয়ও করে। যেন সে সাহায্য সহযোগিতা দুটোই করে। ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে কাঁদতে কাঁদতে ঈশ্বরকে বলেন, “Why hast Thou done all this? Why has Thou brought me here? Why, why dost Thou torment me so terribly?” তারপর সে নীরব হয়ে যায়, তার ভেতর থেকে কে যেন বলে ওঠে, “What is it you want?” ইভান উত্তর দেয়, সে ভালোভাবে এবং শান্তিতে বাস করতে চায়, যেমনটি সে সারা জীবন করে আসছে। অতঃপর সে তার অতীত জীবনের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। অনুভব করে, যতবেশি সে তার বাল্যকাল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ততবেশি হতাশ হয়ে পড়েছে আর মূল্যহীন হয়ে উঠেছে তার জীবন।

ইভানের স্বপ্নের কালো বস্তাকে যদি কবর বা মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে সে মৃত্যুকে সাদরে গ্রহণ করছে আবার তীব্রভাবে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। আবার গভীর বস্তাটিকে যদি মাতৃগর্ভের সাথে তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে, চিন্তা চেতনার জগতে ইভানের পুনর্জন্ম হচ্ছে। বস্তায় প্রবেশ মুহূর্তে যে যন্ত্রণা সে অনুভব করছে তা হল জন্মমুহূর্তের যন্ত্রণা। যেটাকে ইভান ইলিচের মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে, সেটা আসলে তার দৈহিক মৃত্যু আত্মার বা অধ্যাত্মবোধের পুনর্জন্ম। এই অধ্যাত্মবোধ বা আত্মার মৃত্যুর কারণ ছিল তার তথাকথিত ধারায় যাপিত জীবন। সমাজের চোখে ইভান ইলিচের মৃত্যু ঘটছে বটে কিন্তু ইভান ইলিচের কাছে তার পুনরায় জন্ম হচ্ছে। ইভান যখন শারীরিক মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ তার অধ্যাত্মবোধের জন্মের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সে নিজেকে তার এতদিনের বিশ্বাস যাপিত জীবনের প্রতি প্রশ্ন তুলতে সক্ষম হয়েছে।

ইভান তার নিজের জীবন দিয়ে অনুভব করে, “Life, a series of increasing sufferings, flies further and further towards its end—the most terrible suffering.” সে এখন খতিয়ে দেখতে চায়-“what it is all for.” জীবনের সমস্ত অধ্যায় ঘেঁটে ঘেঁটে মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে ইভান বুঝতে পারে, তার সমস্ত জীবন ধরে সে যা সঠিক বলে মান্য গণ্য করেছে তা সবই ছিল ভুল। সে ছিল সুখীসমাজের চোখে এবং সে সেটাই হতে চেয়েছিল। ইভানের অধ্যাত্মবোধ যখন মেটারিয়াল জগতকে অতিক্রম করে যায়, তখন সে মৃত্যুকে জয় করে নতুন জীবন অর্জন করে, এবং এই মুহূর্তে যখন সে নিজেকে প্রশ্ন করে– “What is the right thing?” ঠিক তখনই তার একটি হাত তার ছেলে ভাসার মাথা স্পর্শ করে। ভাসার মধ্যে ইভান তার বাল্য কালের অবয়ব দেখতে পায়, সে তার জন্য দুঃখ অনুভব করে। এবং তার কাছে ক্ষমা চায়। মানুষের ফিজিক্যাল সংস্পর্শে এসে ইভান অনুভব করে, সমস্ত জীবন ব্যাপী সে শুধু নিজের চারপাশে একটি দেয়াল স্থাপন করে এসেছে, সরে গেছে অর্থপূর্ণ মানবিক সম্পর্ক থেকে। যখন সে মানব জীবনের প্রকৃতি বা ‘the truth of life and death’ উদঘাটন করতে সক্ষম হয় তখনই তার পুনর্জন্ম হয়সে মারা যায় শান্তিপূর্ণ ভাবে।

tumblr_n13xnooTby1r9d02eo1_500মেটামরফোসিস’-এর প্রথম বাক্যেই গ্রেগর সামসার মৃত্যু ঘোষিত হয় এবং সমস্ত গল্প জুড়ে সে ক্রমশ: মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। ইভান ইলিচের মত গ্রেগর সামসাও মৃত্যুচিন্তার সাথে লড়াই করে চলে প্রতিনিয়ত। সমালোচক মার্টিন গ্রিনবার্গ এর মতে– ‘‘…Tolstoy’s work is about death literally and existentially; Kafka’s is about death in life’’ যতক্ষণ না ইভান ইলিচ তার যাপিত জীবনকে মিথ্যা বলে মেনে নেয় এবং স্বীকার করে এটা যেমনটি হওয়ার কথা ছিল তেনটি হয়নি, ততক্ষণ সে তার আসন্ন মৃত্যু সম্পর্কে সজাগ হতে পারে না। শেষ মুহূর্তে সে আবিষ্কার করে-‘the truth of life and death’ এবং তার মৃত্যু ঘটে। গ্রেগর সামসার ক্ষেত্রে, জীবিত থেকেও সে মৃত সুতরাং মুক্তি মেলে না সহজে। সকালে উঠে গ্রেগর তার যে অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে সেটাই হচ্ছে তার ক্ষেত্রে– ‘the truth of life and death’ এক্ষেত্রে, ‘the dream reveals the reality’–কথাটি উভয়ের ক্ষেত্রে সত্য বলে খাটে

.

mozzafforলেখক : সাহিত্যিক ও সাংবাদিক

Sharing is caring!

Leave a Comment