প্রথমবার ঘোষিত হল হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার
শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক: এ বছরের শুরুর দিকে এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে চালু করা হয়েছে এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই প্রতি বছর এই পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আয়োজকরা। এবছর প্রথমবার এ পুরস্কার পেয়েছেন প্রবীণ কথাসাহিত্যিক শওকত আলী ও তরুণ গল্পকার সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম।
৮ নভেম্বর, বেলা সাড়ে ৩টায় বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। কথাসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য শওকত আলীকে এবং নবীন কথাসাহিত্যিক ক্যাটাগরিতে সাদিয়া মাহজাবীন ইমামকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে শওকত আলী পাবেন ৫ লাখ টাকা, সম্মাননা স্মারক, সনদ ও উত্তরীয়। আর নবীন কথাসাহিত্যিক ক্যাটাগরির সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম পাবেন এক লাখ টাকা, সম্মাননা স্মারক, সনদ ও উত্তরীয়।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে ১২ ফেব্রয়ারি ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণকারি শওকত আলী ‘পিঙ্গল আকাশ’, ‘উন্মুল বাসনা’, ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ প্রভৃতি গ্রহন্থের জন্য বহুল প্রশংসিত। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ, ১৯৯০ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে ১২ ফেব্রয়ারি ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণকারি শওকত আলী ‘পিঙ্গল আকাশ’, ‘উন্মুল বাসনা’, ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ প্রভৃতি গ্রহন্থের জন্য বহুল প্রশংসিত। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ, ১৯৯০ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ফরিদপুরের মেয়ে সাদিয়া মাহজাবীন ইমামের জন্ম ১৯৮২ সালে ১২ অক্টোবর। ২০১৪ সালে প্রকাশিত ‘পা’ গল্পগ্রন্থের জন্য তিনি এ পুরস্কার পাছেন।
ফরিদপুরের মেয়ে সাদিয়া মাহজাবীন ইমামের জন্ম ১৯৮২ সালে ১২ অক্টোবর। ২০১৪ সালে প্রকাশিত ‘পা’ গল্পগ্রন্থের জন্য তিনি এ পুরস্কার পাছেন।
এর আগে পুরস্কার মনোনয়নের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট জুরি বোর্ড গঠন করা হয়, যার সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। জুরি বোর্ডের অন্যান্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, হায়াৎ মামুদ, আবুল হাসনাত ও পূরবী বসু।
বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এক্সিম ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সজীব চট্টোপাধ্যায়, পাক্ষিক অন্যদিনের সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।