ড্যাফোডিলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আরো বেশি সমুন্নত করতে ও হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন ও সমুজ্জ্বল করে তুলতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা দিবস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, এমপি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান, অ্যালাইড হেলথ সায়েন্সস অনুষদের ডিন ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আহমেদ ইসমাইল মোস্তফা, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সামছুল হক। অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান প্রধান অতিথি আ ক ম মোজাম্মেল হকের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মারক উপহার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শেষাংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘অল স্টার ডাফোডিল’ এর শিল্পীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নৃত্য-নাট্য পরিবেশন করা হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা তখনই অর্থবহ হবে যখন স্বাধীনতার মূল লক্ষ্যসমূহ বিশেষ করে মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি অর্জিত ও বাস্তবায়িত হবে। মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছরের মধ্যে মাত্র ১৯ বছর স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে, বাকী ৩০ বছরই নানা কৌশলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। ফলে এ অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেনি এবং বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে চেয়েছে বলে আমরা স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও এত পিছনে পড়ে আছি এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে যা ইতোমধ্যে দেশবাসীর কাছে দৃশ্যমান হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শুধু পাঠ্য-পুস্তকে সীমাবদ্ধ না রেখে হৃদয়ে লালন ও ধারন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রত্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।