ড্যাফোডিলে মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের ওপর আলোচনা

ড্যাফোডিলে মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের ওপর আলোচনা

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টার এবং বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলাপমেন্ট ইন্সটিটিউট এর যৌথ আয়োজনে ‘১৯৭১ : প্রতিরোধ, সংগ্রাম, বিজয়’ বইয়ের ওপর বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান গতকাল রোববার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বইটির লেখক মাহামান্য রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সরোয়ার হোসেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ মো. হামিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট সেন্টারের উপদেষ্টা কে এম হাসান রিপন।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মেজর জেনারেল মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের সবচেয়ে গর্বের ইতিহাস হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। এই ইতিহাস ধারণ করেই আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ ভবিষ্যতের পথ তৈরি করতে হয় অতীতের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে। এসময় তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।

বইটি লেখার প্রেক্ষাপট আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল মাত্র সাত। ফলে অনেক ঘটনাই স্পষ্ট মনে নেই। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার আগ্রহ থেকে বই-পুস্তক খুঁজতে গিয়ে দেখলাম, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রায় বিশ বছর মুক্তিযুদ্ধের উপর কোনো গবেষণা বা কোনো ধরনের লেখালেখি হয়নি। উপরন্তু পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। তখন মনে হলো, মুক্তিযুদ্ধের ওপর কাজ করা উচিত। এই বই সেই ইচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ। বইটি তরুণ প্রজন্ম পড়লে তাঁর শ্রম সার্থক হবে বলে মন্তব্য করেন মেজর জেনারেল মো. সরোয়ার হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানে না। এই অভিযোগটি সত্যিই দুঃখজনক। কারণ নিজের জন্মের ইতিহাস না জানলে কখনো আত্মমর্যাদাশীল হওয়া যায় না। আমরা অর্থনৈতিকভাবে যেমন উন্নত হচ্ছি তেমনি জাতি হিসেবেও মর্যাদাশীল হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, তোমাদের ওপরই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। আর ভবিষ্যৎ সবসময় নির্ধারিত হয় অতীতের ওপর। তাই তোমদেরকে অতীত ইতিহাস জানতে হবে। বাংলাদেশের একটি গৌরবজ্জ্বল অধ্যায় রয়েছে যার নাম মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আত্মস্থ করতে হবে। এসময় তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ‘১৯৭১ : প্রতিরোধ, সংগ্রাম, বিজয়’ বইটি রাখার ঘোষণা দেন যাতে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে।

উল্লেখ্য, ‘১৯৭১: প্রতিরোধ, সংগ্রাম, বিজয়’ বইটি অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯ এ প্রিয়মুখ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

Sharing is caring!

Leave a Comment