ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য দিবস উপলক্ষে সেমিনার
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৭ উপলক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দিন, খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ করুন’ শীষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী, ঢাকার ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর (স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পোগ্রাম) দীপায়ন ভট্টাচার্য ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব উল-হক মজুমদার। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ বেলাল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণভাবে সক্ষম হয়েছে। আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ন। চাল উৎপাদনে আমরা পৃথিবীতে চতুর্থ। মঙ্গা বা দুর্ভিক্ষ শব্দটি বাংলাদেশ থেকে উঠে গেছে। এর পাশাপাশি মানুষের পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার প্রাপ্তির মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, গ্রামে কর্মসংস্থান আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। গ্রামের মানুষের শহরমুখীতা কমাতে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিদুৎ, গ্যাসসহ সকল প্রকার সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গ্রামীণ মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আশ্রায়ন প্রকল্প, খাদ্য ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মায়ের ও গর্ভের সন্তানের পুষ্টির জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতি কেজি ১০ টাকা হারে চাল বিতরণ কর্মসূচী সহ নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। মানুষের মৌলিক নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে জেলা পর্যায়ে কাজ হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়কে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধান করতে চাই। খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় উপাদান সংগ্রহ থেকে শুরু করে, খাবার তৈরী, প্রক্রিয়াজাত করণ, মোড়ক জাতকরণএবং বাজারজাত করণসহ প্রতিটি পর্যায়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার আর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে খাদ্য ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ। মানস্মত শিক্ষা, উন্নত গবেষণা ও সর্বাধূনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সেমিনারে দীপায়ণ ভট্টাচার্যর্ বলেন, বিশ্বের ৮০ কোটি মানুষ এখনো নিয়মিত পর্যাপ্ত খাবার পায়না ফলে তারা পুষ্টিহীনতায় ভোগে। তিনি বলেন, ২০০০ -২০১৬ পর্যন্ত এই ১৬ বছরে বাংলাদেশের দারিদ্রসীমার নীচের জনসংখ্যা ৪৯% থেকে কমে ২৪% এসেছে যার ফলে খাদ্য সুরক্ষার যে সমস্যা রয়েছে তার অনেকটাই বাংলাদেশ জয় করতে পেরেছে।