‘শিক্ষা ও বিজ্ঞান জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ : কী করণীয়’
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিয়েল এস্টেট বিভাগ ও গবেষণা কেন্দ্রের যৌথ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাঙ্কুয়েট হলে গত ১৯ নভেম্বর ‘শিক্ষা ও বিজ্ঞান জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ : কী করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালা পরিচালনা করেন একাডেমি অব বিজনেস অ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট এর প্রধান সম্পাদক ও নির্বাহী ড. পি আর দত্ত। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কবিরুল ইসলাম। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রিয়েল এস্টেট বিভাগের প্রধান শেখ আব্দুর রহিম। দেশের ১৩টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষাবিদ এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালা পরিচালক ড. পি আর দত্ত বলেন, বর্তমান সময়ে প্রবন্ধ প্রকাশ করার সুযোগ প্রায় সর্বত্র উন্মুক্ত। ফলে গুণগত মানসম্পন্ন জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করা বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন সারা পৃথিবীর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগীতা করে প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হয়। সেজন্য ছাত্রাবস্থাতেই একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা প্রবন্ধ লেখা ও প্রকাশনার প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন তিনি। ড. পি আর দত্ত আরও বলেন, প্রবন্ধে সমন্বয়হীনতা, দুর্বল গবেষণা পদ্ধতি, অসঙ্গত ফলাফল, দুর্বল বিশ্লেষণ, গুছিয়ে লেখার অভাব ইত্যাদি কারণে বেশির ভাগ গবেষণা প্রবন্ধ স্বনামধন্য জার্নাল থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়। ভবিষ্যতের তরুণ গবেষকদের এসব বিষয়ে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান ড. পি আর দত্ত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে আমাদের চিন্তাভাবনা ও দর্শনের দিক থেকেও গ্লোবাল হতে হবে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিশ্বাস করে, বাংলাদেশী গবেষকদের গবেষণা আন্তর্জাতিক পরিসরে সমাদৃত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত আরও বেশি বেশি গবেষণার প্রতি মনোযোগী হওয়া। কারণ একটি সমাজের অগ্রগতি নির্ভর করে সেই দেশের গবেষকদের ওপর। এজন্য শিক্ষার্থীদেরকে তিনি গবেষণার প্রতি আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানান।