‘আনিসুল হক স্টাডি সেন্টার’ ও ‘ড্যাফোডিল চেঞ্জ মেকার অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘আনিসুল হক স্টাডি সেন্টার’ ও ‘ড্যাফোডিল চেঞ্জ মেকার অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে আয়োজিত এক ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, পরিচালক (স্টুডেন্ট এফেয়ার্স) সৈয়দ মিজানুর রহমান ও ড্যাফোডিল পরিবারের পক্ষে সামিহা খান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. এজাজ-উর রহমান সজল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আনিসুল হক একটি সাধারণ নাম, কিন্তু অসাধারণ মানুষ। তিনি কিছু অনন্য উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এবং কিছু কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এবং সমাজে রোল মডেলে পরিণত হয়েছেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আনিসুল হকের ছিল এক আত্মিক সম্পর্ক। সেই সম্পর্ককে পৃথিবীর বুকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ‘আনিসুল হক স্টাডি সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আনিসুল হক স্টাডি সেন্টার ভবন হবে একটি বহুমাত্রিক কর্মক্ষেত্র। এখানে তার নামে একটি ফটো গ্যালারি ও বইয়ের লাইব্রেরি থাকবে। লাইব্রেরিতে আনিসুল হকের লেখা ও আনিসুল হককে নিয়ে লেখা বই থাকবে। এখানে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি সেমিনার হলও থাকবে। শিক্ষার্থীরা যাতে উপকৃত হতে পারে এজন্য দেশের প্রথিতযথা ব্যক্তিত্বদের লেকচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে স্টাডি সেন্টার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘ড্যাফোডিল চেঞ্জ মেকার অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করবে আনিসুল হক স্টাডি সেন্টার। যেসব সামাজিক উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, ব্যবসায়ী নেতা, নীতি নির্ধারক ও কর্মঠ ব্যক্তিবর্গ সমাজে টেকসই পরিবর্তন ও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন করেছেন তাদেরকে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, আগামী ২৫-২৯ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে আশুলিয়ায় অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে ‘এ প্যাট্রিয়ট চেঞ্জ মেকার’ শিরোনামে একটি ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
একজন অনুপ্রেরণাদায়ী রোল মডেল হিসেবে আনিসুল হককে আর্ট অব লিভিং বইয়ে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। এছাড়া আর্ট অব লিভিং কোর্সে ‘স্টাইল অব লিভিং অব আনিসুল হক’ নামে অধ্যায় সংযুক্ত করা হবে।