মানসিক সুস্থতার জন্য কর্মশালা
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
বিশিষ্ট মনোবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহতাব খানমের পরিচালনায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘মানসিক সুস্থতা’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর অব স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের আয়োজনে আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফেডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামসী আরা হুদা, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মনোচিকিৎসক বিলকিস খানম ও বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।
কর্মশালায় ড. মেহতাব খানম বলেন, শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা যতটা সচেতন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ততটা নই। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। কারণ মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে শারীরিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটে। শরীর ও মন পরষ্পরের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। তবে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানান মেহতাব খানম। আগের চেয়ে মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন করতে হলে এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন বেশি বেশি হওয়া উচিত। এসময় তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. মেহতাব খানম বলেন, আমাদের বাস্তব জীবনের সব সমস্যা ও সংঘাতের সমাধান পাঠ্যপুস্তকে থাকে না। শেণিকক্ষের বাইরে যে বিশাল জগৎ রয়েছে সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। নিজের মেধা ও অভিজ্ঞতার আলোকে ইমোশনকে ম্যানেজ করা শিখতে হবে। এ সময় মেহতাব খানম ৬টি প্রধান ইমোশনের কথা বলেন। সুখ, দুঃখ, রাগ, ভয়, বিরক্তি ও বিস্ময়–এই ছয়টি প্রধান ইমোশন মানুষের বিভিন্ন আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানান তিনি। শিক্ষার্থীদের এসব আচরণ নিয়ন্ত্রণের নানা কৌশল শেখান ড. মেহতাব খানম।
তিন ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মশালায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ড. মেহতাব খানম। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। এজন্য নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া, নিজের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা খুঁজে বের করা, পারিবারিক বন্ধনকে দৃঢ় করা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন ড. মেহতাব খানম।