ফল সেমিস্টারের নবীনবরণ
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফল-২০১৮ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ২৭ অক্টোবর, ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব-উল হক মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, ট্যাক্স কমিশনার মো. বজলুল কবির ভুঁইয়া, বাণিজ্য ও উদ্যোক্তা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, প্রকৌশল অনুষদের সহযোগী ডীন অধ্যাপক ড. একেএম ফজলুল হক, এলাইড হেলথ সায়েন্সেস অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আহমেদ ইসমাইল মুস্তাফা, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক এ এম এম হামিদুর রহমান, স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. গোলাম মওলা চৌধুরীসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান।
দেশপ্রেমের চেতনাকে বুকে ধারন করে ঊজ্জ্বল ভবিষ্যত গঠনের দৃঢ় প্রত্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল সবুজ মাঠে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমবেত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচী শুরু হয়। দিনব্যাপী আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল র্যালী, আলোচনা অনুষ্ঠান, ক্লাব কার্নিভাল, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আড্ডা, খেলাধূলা, ফান ইভেন্টস, র্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. সবুর খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও অভিভাবকসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সমর্থন, আকুণ্ঠ ভালবাসা ও অবদানের ফলেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আজ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। সম্প্রতি কিউএস র্যাংকিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তিনি আগামীতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে বিশ্বসেরা অবস্থানে দেখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় গুণগত শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩০০ শিক্ষার্থী নিজে উদ্যোক্তা হয়েছে। তারা চার হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ভারত ও মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভিত্তিতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করতে যাচ্ছে। এই স্থায়ী ক্যাম্পাসের পেছনে তৈরি হচ্ছে বিশাল আইটি পার্ক, যেখানে বসে শিক্ষার্থীরা সারাবিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারবে। তিনি আরো বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ ও উদ্যক্তা হিসেবে তৈরি করা। সে লক্ষ্য পূরণে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।