‘প্রায় ১৮ মাস পর অক্সিজেন ফিরে পেলাম’

‘প্রায় ১৮ মাস পর অক্সিজেন ফিরে পেলাম’

  • বিপ্লব শেখ

‘করোনা ছুটিতেও আমাদের অফিসে আসতে হতো। কিন্তু আমরা সকলেই অক্সিজেনের অভাবে ভুগতাম। কিন্তু আজ (৩ নভেম্বর, ২০২১) মনে হচ্ছে অক্সিজেন ফিরে পেলাম। আর আমাদের সেই অক্সিজেন হচ্ছ তোমরা।’ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ‘নবীনবরণ ২০২১’ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে আবেগ মাখা এই বক্তব্যটি জেএমসি বিভাগের শিক্ষক এস এম আব্দুর রাজ্জাকের।

মহামারী করোনার লম্বা ছুটি কাটানোর পর গত ১৬ অক্টোবর থেকে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করে। আর তাতেই ক্যাম্পাস প্রাণ ফিরে পায়। এই ধারাবাহিকতায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেএমসি বিভাগের জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন ক্লাবের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ৩ নভেম্বর নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কিন্তু এবারের আয়োজনটা হয়েছে একটু ভিন্ন ধরনের। এখানে ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩ ও ৪৪তম ব্যাচ অর্থাৎ মোট ৫টি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে বরণ করে নেওয়া হয়। মহামারী করোনায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাদের ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে সফলতার সঙ্গে বজায় রেখেছিল। তাই নতুন ব্যাচের আগমন ঘটলেও তাদের বরণ করে নেওয়ার সুযোগ হয়নি। এবার সুযোগ আসতেই  ৫টি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে বরণ করে নেওয়া হয়।

নবীণদের বরণ করে নেওয়ার এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয় সকাল ১১ টায়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ এম এম হামিদুর রহমান, জেএমসি বিভাগের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ প্রভাষক আফতাব হোসাইন, মিডিয়া ল্যাবের পরিচালক এস এম আব্দুর রাজ্জাক, প্রভাষক রাশেদুল ইসলাম রাতুল, প্রভাষক সাইদুর রাহমান ও জেএমসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকরা তাঁদের ব্ক্তব্যের মাধ্যমে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে নবীন শিক্ষার্থীদেরবে বরণ করে নেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।

শিক্ষকদের বক্তব্যের পর জেএমসি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা নবীনদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেও বক্তব্য রাখেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। পুরো অনুষ্ঠানটিতে উপস্থাপনা করেন জেএমসি বিভাগের শারমিন আক্তার এবং মাঝারুল হক মুহাজির।

বক্তব্যপর্ব শেষ হলে নবীণদের হাতে উপহার সামগ্রী দিয়ে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়। তারপর অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান বাজনায় মেতে ওঠে পুরো জেএমসি। নবীণদের আগমনে, প্রাক্তনদের মিশ্রনে আনন্দমূখর এই পরিবেশ যেন এক নিমিষেই বিষাদময় করোনার অন্ধকার কাটিয়ে তোলে।

কিন্তু কোনো শুভসূচনায় কেক কাটা না হলে কি চলে? সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ করে  ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচুড়ার নিচে নবীণদের আগমনী যাত্রার শুভসূচনা করা হয় কেক কেটে।  আর এভাবেই সামাপ্ত হয় জেএমসি বিভাগের ‘নবীণবরণ-২০২১’ অনুষ্ঠান।

Sharing is caring!

Leave a Comment