ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তদশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
দু’দিনব্যাপী (২৭-২৮ জানুয়ারি) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সপ্তদশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব আজ ২৭ জানুয়ারি (রোববার) আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোহাম্মদ এনামুর রহমান, এম পি প্রধান অতিথি হিসেবে দু’দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধন করেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, ট্রেজারার হামিদুল হক খান, বাণিজ্য ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মাসুম ইকবাল, প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর এম সামছুল আলম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর এ এম এম হামিদুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক ও চতুর্দশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডিন (স্থায়ী ক্যাম্পাস) প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল বাস র্যালি, আলোচনা অনুষ্ঠান, বৃক্ষরোপন, বনভোজন, পিঠা উৎসব, প্রদর্শনী,সেলিব্রেটি শো, খেলাধূলা, ফান ইভেন্টস, র্যাফেল ড্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। আঠারো হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ ৪৫০টি বাসের র্যালি মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে সকাল ৭টায় আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাসে এসে মিলিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মোহাম্মদ এনামুর রহমান বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশকেও প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে উন্নত হতে হবে। আমেরিকার এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয় সে দেশের ৬০ শতাংশ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করে। ভারতেও রয়েছে আইআইটি। বাংলাদেশের ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় একদিন এমআইটি, হার্ভার্ড, অক্সফোর্ডের কাতারে দাঁড়াবে। এসময় তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এক ল্যাপটপ কর্মসূচির প্রশংসা করেন। ডা. এনামুর রহমান বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীর শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু নানা প্রতিকূলতকার কারণে সরকার তা পুরোপুরি পারে না। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে শিক্ষার সুযোগ দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করছে।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্ছ্বল প্রাণবন্ত শিক্ষার্থীদের দেখে মন্ত্রী বলেন, রাইজিং বাংলাদেশ, শাইনিং বাংলাদেশ। তোমাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ খুব দ্রুত উন্নত দেশে পরিণত হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে সততা, স্বচ্ছতা, দক্ষতা, দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন তোমাদের হাত ধরেই স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা চাকরি খুঁজবে না, তারা চাকরি দেবে। সেই লক্ষেই এ বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেটিভ ল্যাব ও এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ফান্ড রয়েছে যা বাংলাদেশে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে প্রযুক্তিতে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে ৩৪ হাজার ল্যাপটপ বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও ইন্সুরেন্স সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আর এসব কারণে ড্যাফোডিল একদিন বাংলাদেশে মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। কিউ এস র্যাংকিং এবং ইউ আই গ্রীন ম্যাট্রিক র্যাংকিংয়ের সাফেল্যের ইতিহাস তুলে ধরে ড. মো. সবুর খান বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আশুলিয়ায় ১৫০ একর জায়গার উপর সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছেলে ও মেয়েদের পৃথক আবাসিক সুবিধাসহ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে করেছে ২০১১ সাল থেকে। এখানে কোলাহল মুক্ত ছায়া সুনিবিড় শান্ত সবুজ পরিবেশে আধূনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত খেলার মাঠ, অডিটরিয়াম ছেলে ও মেয়েদের পৃথক আবাসিক হল, সুইমিং পুল, জিমনেশিয়াম, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড, টেনিস কোর্টসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন রয়েছে।