‘বাংলাদেশে আইসিটি চাকরি বাজারের ওপর জরিপ-২০১৮’র ফলাফল প্রকাশিত
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভোলাপমেন্ট সেন্টার (সিডিসি) ও গবেষণা বিভাগের আয়োজনে ‘বাংলাদেশে আইসিটি চাকরি বাজারের ওপর জরিপ-২০১৮’ শীর্ষক এক গবেষণা ফলাফল প্রকাশনা অনুষ্ঠান আজ বুধবার (৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাঈদ আহমেদ পলক, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম, এনডিসি। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক সুশান অমাৎ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রকাশনা উৎসবে আরও বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, ক্যারিয়ার ডেবলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, ট্রেজারার হামিদুল হক খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপাস্থাপন করেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূঁইয়া এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএসডিআইয়ের উপদেষ্টা কেএম হাসান রিপন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাঈদ আহমেদ পলক বলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জরিপ একটি সময়োপযোগী উদ্যেগ। কারণ বিগত দশ বছরে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রভূত উন্নতি হলেও এই খাতে চাকরির বাজার কেমন সে বিষয়ে কোনো পূর্ণাঙ্গ জরিপ হয়নি। সুতরাং ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জরিপ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২ মিলিয়ন নিয়োগ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক তৈরি করা, তথ্য প্রযুক্ত খাতে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি সেতুবন্ধ তৈরি করাসহ নানা পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই জরিপের ফলাফল সহায়তা করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে জুনাঈদ আহমেদ পলক বলেন, খুব শীঘ্রই সরকার ভার্চুয়াল ইউনিভার্সিটি অব মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ইনোভেশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে এবং এর সফল বাস্তবায়নে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. সবুর খান বলেন, এই জরিপটি বাংলাদেশের আইসিটি খাতের চাকরির বাজার বুঝতে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়কে সহায়তা করবে তেমনি সরকারের নীতি নির্ধারণেও সহায়ক হবে। জরিপটি শুভ সূচনামাত্র, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে জরিপ পরিচালনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান সময়োপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সর্বদা সচেষ্ট। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় চেষ্টা করে আন্তর্জাতিক মান ও চাকরির বাজারের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের কোর্স কারিকুলাম তৈরি করার। খুব শিগগিরই প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের কোর্সের সঙ্গে রোবটিক এডুকেশন যোগ করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এই জরিপ পরিচালনার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের ৩৮৪টি সরকারি ও বেসরকারি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান, আইসিটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২০১৮ সালের তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জরিপের ফলাফল প্রস্তুত করেছে। জরিপের ফলাফল বাংলাদেশের আইসিটি বাজারের বর্তমান চিত্র বুঝতে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান এবং চাকরি প্রত্যাশীদেরকে বিশেষভাবে উপকৃত করবে বলে মনে করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এটি ইন্ড্রাস্ট্রি ও একাডেমির মধ্যে দূরত্ব ঘোচানোর পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় সহায়তা করবে বলে বলেও আশা করা যায়।