পড়তে পারেন নিউজিল্যান্ডে
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
নিউজিল্যান্ড। সাগর ঘেরা এই দেশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের পড়াশুনার জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডই একমাত্র দেশ যারা সরাসরি এবং তুলনামূলকভাবে খুব সহজেই বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে। আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক কম হওয়ায় বাংলাদেশের মত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যোগ্য শিক্ষার্থীদের নিউজিল্যান্ড সরকার নাগরিকত্ব প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর জন্য খুব অল্প খরচে উন্নতমানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে নিউজিল্যান্ডে। তাছাড়া পড়াশুনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজও করতে পারেন শিক্ষার্থীরা।
ভর্তির যোগ্যতা: নিউজিল্যান্ডে উচ্চতর শিক্ষার জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীর অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে। কোর্স এবং লেভেলের ওপর নির্ভর করে আইইএলটিএস স্কোর বিবেচনা করা হয়। ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক অথবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে একজন শিক্ষার্থী নিউজিল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে ৬ বা ৬.৫।
শিক্ষাবিরতি গ্রহণযোগ্য নয়: নিউজিল্যান্ডে অধিক শিক্ষাবিরতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোন শিক্ষার্থীর পড়াশুনায় বিরতি থাকলে তাকে অবশ্যই যথাযথ কারণ এবং প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। নিউজিল্যান্ডে পড়াশুনার জন্য একজন শিক্ষার্থীর প্রাথমিকভাবে সর্বমোট ১২ লাখ টাকার মত খরচ হবে। তবে শিক্ষার্থীকে তার অথবা তার পরিবারের (বাবা, মা, ভাই, বোন) ব্যাংক হিসাবে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা দেখাতে হবে। মনে রাখতে হবে, শুধু টাকা দেখালেই হবে না, টাকার উত্স, সরকারি কর ও অন্যান্য কাগজপত্রও দেখাতে হবে।
খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ: নিউজিল্যান্ডে এক বছর বা দেড় বছর পড়াশুনার পর একজন শিক্ষার্থী এক বছরের জন্য চাকরি খোঁজার অনুমতি পেয়ে থাকে। যে বিষয়ে পড়াশুনা করেছে সেই বিষয়ের উপর যে কোনো একটি চাকরি পেলেই দুই বছর পূর্ণ সময় কাজ করার অনুমতি প্রদান করে নিউজিল্যান্ড সরকার। মোট চার থেকে সাড়ে চার বছর অবস্থানকালীন সময়ের মধ্যে দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা হলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন শিক্ষার্থীরা।
ভিসার আবেদন: যে কোনো শিক্ষার্থী নিজেই স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে ভিসা আবেদন পদ্ধতি জটিল হওয়ার কারণে ভুলভ্রান্তির সম্ভাবনা থাকে। যেহেতু বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ডের কোনো দূতাবাস নেই সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে ভারতে অবস্থিত নিউজিল্যান্ড দূতাবাসে আবেদনপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র টিটি সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। কাগজপত্রের সত্যতা যাচাই করতে বিএনজেডইএফ অথবা নিউজিল্যান্ড সরকার অনুমোদিত স্টুডেন্ট ভিসা ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইজারের সাহায্য নিতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই ফি লাগবে ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা।